দানেশ শেখ লেন
নেই রাজ্যের ‘ডাক’
নেই পোস্টমাস্টার। জনা ছয় কর্মী। ফাটা দেওয়াল। ভেঙে পড়ছে ছাদের চাঙড়। এমনই জরাজীর্ণ অবস্থা হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের মুখ্য ডাকঘরের। অভিযোগ, এখানে মেলে না বেশ কিছু পরিষেবাও।
ডাকঘরে ঢোকার মুখেই অ্যাসবেস্টসের ছাউনি। দু’পা সিঁড়ি পেরিয়ে একটি মাত্র কাউন্টার। এখানে পাশাপাশি ছ’জনের বেশি দাঁড়ানো যায় না। মাথার ওপরেই চাঙড় খসে বেরিয়ে রয়েছে লোহা। সেখান থেকেই কোনও রকমে ঝুলছে একটি সিলিং পাখা। যে কোনও সময় বিপদ ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। উপচে পড়া ভিড়ের জন্য বসার জায়গা একটিমাত্র বেঞ্চ। সর্বসাকুল্যে এ ডাকঘরে ঘর চারটি। তার একটি ‘স্টোর রুম’, আর একটি ঘরে বেশ কয়েকটি বস্তা। কাগজপত্র সুরক্ষিত রাখার জন্য কোনও আলমারিও নেই।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, পোস্ট মাস্টার নেই, রয়েছেন এক জন পিএ (পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট)। তিনিই সব দেখাশোনা করেন। কর্মীদের বসার জায়গায় একটি ছোট টেবিল পাখাই সম্বল। লোকের বাড়ি চিঠি পৌছনো হবে না কি অফিসে কাজ করা হবে তা নিয়ে ধন্দে থাকে। মানি অর্ডার পৌছে দিতেও সমস্যা হয়। এক জনকে তিন জনের কাজ করতে হয়। পর্যাপ্ত পাখাও নেই।
হাওড়া ৯-এর এই মুখ্য ডাকঘরই ভরসা পোদরা থেকে শুরু করে হাসখালি পোল, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক চত্বরের প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের। প্রায় তিনশো এমআইএস আছে এখানে। কিন্তু পরিষেবার হাল খুব খারাপ বলে অভিযোগ। ‘পোস্টাল অর্ডার’ মেলে না, ‘স্পিড পোস্ট’ও হয় না। একটি পোস্ট কার্ড কিনতে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
উত্তর হাওড়া ডিভিশনের ‘সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অফিসেস’ হরিপদ কোরা বলেন, “ওই ডাকঘর যে বাড়িতে সেটি রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। আমরা স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি যে বাড়িটি সংস্কার করতে চাই। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। তবে দ্রুত পোস্টমাস্টার নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আইন মেনে কাজ হলে সমস্যার অবশ্যই সমাধান হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। কারণ কোনও আবাসনের সংস্কার করতে হলে মন্ত্রী অথবা সচিবের কাছে লিখিত ভাবে অনুমতি চাইতে হয়। স্থানীয় অফিসারের এ বিষয়ে কিছুই করার নেই। আমার কাছে এ ধরনের কোনও চিঠি আসেনি। এলে অবশ্যই অনুমতি দেব।”
(পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট)। তিনিই সব দেখাশোনা করেন। কর্মীদের বসার জায়গায় একটি ছোট টেবিল পাখাই সম্বল। লোকের বাড়ি চিঠি পৌছনো হবে না কি অফিসে কাজ করা হবে তা নিয়ে ধন্দ থাকে। মানি অর্ডার পৌছে দিতেও সমস্যা হয়। এক জনকে তিন জনের কাজ করতে হয়। পর্যাপ্ত পাখাও নেই।
হাওড়া ৯-এর এই মুখ্য ডাকঘরই ভরসা পোদরা থেকে শুরু করে হাসখালি পোল, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক চত্বরের প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের। প্রায় তিনশো এমআইএস আছে এখানে। কিন্তু পরিষেবার হাল খুব খারাপ বলে অভিযোগ। ‘পোস্টাল অর্ডার’ মেলে না, ‘স্পিড পোস্ট’ও হয় না। একটি পোস্ট কার্ড কিনতে অপেক্ষা করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
উত্তর হাওড়া ডিভিশনের ‘সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অফিসেস’ হরিপদ কোরা বলেন, “ওই ডাকঘর যে বাড়িতে সেটি রাজ্য সরকারের সম্পত্তি। আমরা স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি যে বাড়িটি সংস্কার করতে চাই। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। তবে দ্রুত পোস্টমাস্টার নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “আইন মেনে কাজ হলে সমস্যার অবশ্যই সমাধান হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। কারণ কোনও আবাসনের সংস্কার করতে হলে মন্ত্রী অথবা সচিবের কাছে লিখিত ভাবে অনুমতি চাইতে হয়। স্থানীয় অফিসারের এ বিষয়ে কিছুই করার নেই। আমার কাছে এ ধরনের কোনও চিঠি আসেনি। এলে অবশ্যই অনুমতি দেব।”

ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.