|
|
|
|
হাইকোর্টের রায়ে ধাক্কা অখিলেশের
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
মায়াবতীর জমানায় যে সব মুসলিম সন্ত্রাসের ভুয়ো মামলার কোপে পড়েছিলেন, তাঁদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন অখিলেশ যাদব। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের আজকের রায়।
মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে এই ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে কোর্ট। রায় শুনে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেছেন, “আদালতের রায়কে সম্মান করি। তবে আমরা পিছু হঠব না। নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিচারের জন্য চেষ্টা করব।” গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন খালিদ মুজাহিদের মতো যে সব নিরপরাধ মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে, তাঁদের মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। অখিলেশ যাদবের সরকার সেই ব্যাপারে উদ্যোগীও হয়। গত নভেম্বরে গোরক্ষপুর, লখনউ এবং ফৈজাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ছিলেন ওই যুবক। খালিদ এবং আর তারিক কাসমি নামে আর এক অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকার আবেদন জানালেও বরাবাঁকির কোর্ট তা খারিজ করে দেয়। ২০০৬ মার্চের বারাণসীর ধারাবাহিক বিস্ফোরণে জড়িত দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে সরকারের তরফে মামলা তুলে নেওয়ার আবেদনে আপত্তি জানায় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, এতে সন্ত্রাসবাদকেই মদত দেওয়া হবে।
এ বারও একই পথে হাঁটল কোর্ট। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির ক্ষমতায় আসার পিছনে বড় ভূমিকা নেয় মুসলিম ভোট। হাইকোর্টের রায়ে এটা স্পষ্ট যে অখিলেশের সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ। তাই প্রশ্ন, এতে মুসলিম ভোটারদের মধ্যে কী প্রভাব পড়বে। তবে কেউ বলছেন, অখিলেশ যে ভুয়ো মামলা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তা জনতার চোখে পড়েছে। কোর্ট সায় না দিলেও তাঁর সরকারের উপরে সেই দায় বর্তায় না। |
|
|
|
|
|