পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমাকে ঘিরে ক্রমেই তেতে উঠছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা। এক দিকে, বলরামপুরে কংগ্রেসকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে তাদের এক নেতাকে মারধরেরও অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। বাঁকুড়ার জয়পুরে সিপিএমের বিরুদ্ধে তারা পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল প্রার্থীকে নাম প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নকে ঘিরে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও শুরু হয়েছে।
বলরামপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ দাস জানান, দঁড়দা অঞ্চল সভাপতি কালীপদ গরাঁই সোমবার বিকেলে তাঁর এলাকার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা করিয়ে বলরামপুর থেকে কুড়নি গ্রামে, নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে তাঁকে আটকায় তৃণমূল আশ্রিত কিছু লোকজন। কালীপদবাবুর অভিযোগ, “আমি সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলাম। একটা কালভার্টের কাছে মোটরবাইক নিয়ে কয়েক জন আমার পথ আটকায়। আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমাকে শাসানি দিয়ে বলে, কংগ্রেস ছাড়তে হবে। মনোনয়ন জমা করা যাবে না। এ সব বলার পর ওরা আমাকে মারধরও করে।” সুভাষবাবুর দাবি, “আমরাই তৃণমূলের পথের কাঁটা। তাই ওরা হুমকি দিচ্ছিল। ঘটনাটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” |
বলরামপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতো অবশ্য বলেন, “অসত্য অভিযোগ। এত দিন ধরে সকলেই মনোনয়ন জমা দিলেন। কোনও অভিযোগ তো ওঠেনি! তা ছাড়া আমরাও চাই, গণতান্ত্রিক পরিবেশে সকলে লড়াই করুক। সিপিএম এত দিন এ সব করত। আজ ওদের সব জায়গায় প্রার্থীই নেই। আর যে ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। স্থানীয় ঝামেলা বলে শুনেছি।” পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
অন্য দিকে, জয়পুরের ময়নাপুরে নবকুমার রুইদাস নামে পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য সিপিএম হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। জয়পুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন কোলের দাবি, “জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ময়নাপুর থেকে আমরা প্রার্থী করেছি আমাদের দলের কর্মী নবকুমারকে। সোমবার রাতে সে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় জনা কয়েক সিপিএম কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে ওকে ঘিরে ধরে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের দাবি জানাতে থাকে। কেউ কেউ কিল-চড়ও মারে। বিডিওকে দলের তরফে জানিয়েছি।”
বিডিও (জয়পুর) মহম্মদ মার্গব ইলমি বলেন, “পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।” সিপিএমের জয়পুর জোনাল কমিটির সম্পাদক বিশ্বনাথ দে বলেন, “হাস্যকর অভিযোগ। ওদের ভয়ে আমাদের কর্মীরা ব্লক অফিসের ধারেকাছেই ঘেঁষতে পারছে না! আর সেখানে ওদেরই কর্মীদের মারধর! এ কথা শুনেই আমার হাসি পাচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
|
রিভলবার দেখিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে দুষ্কৃতীরা টাকা লুঠ করে পালাল। সোমবার কেন্দা থানার গোবিন্দপুর গ্রামের ঘটনা। সম্প্রতি কেন্দায় পোস্ট অফিসে ডাকাতি হয়েছিল। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানান, আগের ঘটনায় জড়িতদের একাংশকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সোমবারের ঘটনারও তদন্ত শুরু হয়েছে। |