কলকাতার বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে বিদ্যুতের লাইন মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে জরুরি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার মহাকরণে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “কলকাতা পুর-এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বস্তি রয়েছে। সেগুলিতে বিদ্যুতের লাইন বিপজ্জনক অবস্থায়। পুরসভা, সিইএসসি, পুর দফতর এবং দমকলকে নিয়ে শীঘ্রই এ বিষয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে।
দমকলমন্ত্রী বলেন, “পুরসভার ১৪১টি ওয়ার্ডেই বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। মাঝে মধ্যেই আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে। তাই বস্তির উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছি। সেখানে বহুতল করা যায় কি না, তা-ও ভাবা হচ্ছে। ঠিকা টেনেন্সি থাকায় সমস্যা রয়েছে। সব দিক ঠিক রেখে বস্তির উন্নয়নের কথা ভাবা হচ্ছে। পুর দফতর, পুরসভাকে নিয়েই এই কাজ করতে হবে।” |
এর পাশাপাশি, বড়বাজারের ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদেশি পাম্প কিনছে দমকল। জাভেদ জানান, গঙ্গার ধারে পাম্পটি রেখে তার পাইপ দিয়ে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত জল দেওয়া যাবে। অন্য দিকে, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে পাঁচশো শেল্টার তৈরি করছে, যার একেকটিতে আড়াই-তিন হাজার লোক আশ্রয় পাবেন। এমন ৫০টি শেল্টার তৈরি হয়ে গিয়েছে। টাকা মিলেছে কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে।
এ দিনই দমকলমন্ত্রী আরও জানান, ভাল কাজ করলে পুরস্কার এবং কাজে গাফিলতিতে সাসপেন্ডের নীতি চালু করে ভাল সাড়া মিলেছে দমকল ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরে। শিয়ালদহের সূর্য সেন বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ভাল কাজ করার জন্য দমকলের ২০ জন এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের ২৫ জন কর্মীকে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ৫০ নম্বর চৌরঙ্গি রোডে একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৫০ জন কর্মীকে দেওয়া হয়েছে এক হাজার টাকা করে। আবার কাজে গাফিলতির অভিযোগে ৬-৭ জন দমকলকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্টেশন অফিসার থেকে ফায়ার ফাইটার, সকলেই রয়েছেন। সার্ভিস বুকেও সে কথা লেখা থাকছে বলে জানান জাভেদ। |