কলকাতার পরেই দক্ষিণবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ শহর দুর্গাপুর। নির্জন কিন্তু সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। শপিং মল থেকে সাজানো গোছানো পার্ক। কী নেই! আর তাই টলিউডের আউটডোর শুটিংয়ের জন্য ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দুর্গাপুর। কলকাতা থেকে মাত্র তিন ঘণ্টার দূরত্বে, এই ‘শ্যুটিং ডেস্টিনেশন’ টানছে প্রযোজক থেকে পরিচালকদের।
গত কয়েক দিন ধরে এখানেই চলছে একটি বাংলা সিনেমার শ্যুটিং। ছবির নাম সমাধি। প্রযোজক পিন্টু মণ্ডল। তিনি জানান, ছবিটিতে গ্রামবাংলার কিছু দৃশ্য রয়েছে। তার শ্যুটিং চলছে পুরুলিয়ায়। অন্য দিকে দুর্গাপুরের একটি প্রেক্ষাগৃহ, একটি হোটেল, বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও কাঁকসার একটি কলেজে চলছে ইন্ডোর শ্যুটিং। তিনি বলেন, “পুরুলিয়ার কাছে সাজানো গোছানো শহর বলতে একমাত্র দুর্গাপুর। হাতের কাছেই রয়েছে প্রেক্ষাগৃহ, তিন তারা হোটেল, সুসজ্জিত পার্ক, শপিং মল। রাস্তাঘাটও বেশ প্রশস্ত। সুবিধে মতো গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে প্রায় সব ব্যবস্থাই হাতের মুঠোয়।” অদূর ভবিষ্যতে বাংলা ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য আরও অনেক প্রযোজকই এই শহরে আসবেন, তা নিয়ে আশাবাদী তিনি।
শহরে শ্যুটিং করতে এসেছিলেন টলিউডের ফিরদৌস, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়রাও। শুভাশিস বলেন, “দুর্গাপুরে আমি আগেও বহুবার এসেছি। এখানকার রাস্তাঘাট আমাকে টানে। নিজর্ন কিন্তু সুপরিকল্পিত শহর। বিশাল শপিং মল থেকে বিস্তৃত পার্ক। সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য তৈরি উপযুক্ত পরিবেশ।” একই কথা জানিয়েছেন ফিরদৌস। তিনি বলেন, “কলকাতার গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে দুর্গাপুরে শ্যুটিং করতে এসে ভাল লাগছে। লোকজনও খুব ভাল। সঙ্গে এটাও বলব, পুরুলিয়া বলতেই যে কথা প্রথমে মাথায় আসে, সেখানে গিয়ে কিন্তু সেই ধারণা বদলে যাবেই। ওখানকার লোকজনেরাও আমাদের খুব সাহায্য করেছেন।” অভিনেতা রজত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এক ঘেয়ে পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে এখানে কাজ করতে যেমন আমাদের ভাল লাগে, তেমন দর্শকদেরও ভাল লাগবে আশা করি।”
|
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ্যুটিংয়ে সায়ালি ভগত।—নিজস্ব চিত্র। |
শুধু বাংলা ছবি নয়, বলিউডের ছবির শ্যুটিং-ও হচ্ছে দুর্গাপুরে। সেই সূত্রেই দুর্গাপুরে এসে বেশ কয়েক দিন কাটিয়ে গেলেন গোবিন্দা, গ্রেসি সিংহ, সায়ালি ভগতেরা। গোবিন্দা বলেন, “উনত্রিশ বছর পরে বাংলা সিনেমায় কাজ করছি। তাও এই দুর্গাপুর শহরে। এখানকার পরিবেশ এত সুন্দর যে মুগ্ধ হয়ে যেতে হয়।” কাজের সূত্রে বহুবার গ্রামাঞ্চলে গিয়েছেন গ্রেসি সিংহ। কিন্তু এবার পুরুলিয়া ও দুর্গাপুরে কাজ করে তার আরও ভালো লাগছে। তাঁর কথায়, “দুর্গাপুরে মানুষজন আমাদের খুব সাহায্য করছেন। পুরুলিয়ার আদিবাসীদের আন্তরিক ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
শুধু সিনেমা নয়, সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের জন্যও এই শহর আদর্শ বলে মনে করছেন অভিনেতা, পরিচালকেরা। তবে সমস্যা একটাই। ইন্ডোর শ্যুটিংয়ের জন্য কলকাতা থেকে গোটা ইউনিট বয়ে এনে দুর্গাপুরে কাজ করাটা কিন্তু অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ। ছোট ছোট চরিত্রের জন্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও (টলিউডে এক্সট্রা বলা হয় এঁদের) কলকাতা থেকে নিয়ে আসতে হয়। তবে সেই সমস্যা অচিরেই মিটে যাবে বলে আশাবাদী অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন তিনি কলকাতায় পেশাদার অভিনয় ও মডেলিং শেখার স্কুল চালাচ্ছেন। তিনি জানান, সেখান থেকে বহু শিক্ষার্থী ইতিমধ্যেই সিনেমা ও সিরিয়ালে অভিনয় করছে। সম্প্রতি দুর্গাপুরেও সেই স্কুলের একটি শাখা খুলেছেন তিনি। বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়ার শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি।
সম্রাটবাবু বলেন, “এখান থেকে পাঠ শেষ করে অনেকেই সিনেমা, সিরিয়ালে অভিনয় করবে। কিন্তু পাঠ চলাকালীন এই ধরনের ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেই সব শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন পরিচালকেরা।”
|
মারা গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা গণেশচন্দ্র সাহা (৫৮)। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগরের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৬৯ সাল থেকে ‘সংলাপ’ নাট্য গোষ্ঠী, ‘নগেন্দ্রনগর সাংস্কৃতিক চক্র’র সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন কৃষ্ণনগর সাংস্কৃতিক মঞ্চের সঙ্গেও।
|
|
সেই কথাটা বুঝিয়ে দেব...
দেখা হয়ে গেল এক শপিং মলে। অঞ্জন দত্তের সঙ্গে গল্পে মজলেন রাইমা সেন। মঙ্গলবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সূচনায় গৌতম ঘোষ, সব্যসাচী চক্রবর্তী ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
রয়েছেন শিল্পী সুরজিৎ হরি। মঙ্গলবার, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী |
|
|