পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বর। আহত এক পুলিশকর্মী-সহ দু’দলের ১৪ জন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে। সংঘর্ষের সময় কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়া বলে অভিযোগ। আহত পুলিশকর্মী-সহ চার জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন তৃণমূল ও সিপিএমের লোকজন। বিডিও অফিসের গেটের মুখে দু’দলের সমর্থকেরাই স্লোগান দিচ্ছিলেন। তা নিয়েই দু’পক্ষের প্রথমে বচসা বাধে। এক সময় মারপিট শুরু হয়ে যায়। ইটের আঘাতে আহত হন হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশকর্মী গণেশ বিশ্বাস। খবর পেয়ে বিএসএফ এসে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সিপিএম সমর্থকেরা অশ্লীল ভাষায় স্লোগান দিচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় হামলা করে। ছ’জন তৃণমূল সমর্থক আহত হন। অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই সিপিএম প্রার্থীদের গালাগালি করছিল। তারা এর প্রতিবাদ করাতেই তৃণমূল সমর্থকেরা মারধর করে। দলের ৮ কর্মী-সমর্থক আহত হন।
মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পথে বাসন্তীর আরএসপি প্রার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর নির্দেশখালি মোড়ের কাছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে একটি মোটরভ্যানে চেপে আমঝাড়ায় ফিরছিলেন জনা পনেরো আরএসপি প্রার্থী এবং কর্মী। অভিযোগ, নির্দেশখালি মোড়ের কাছে ভ্যানটি পৌঁছতেই তৃণমূল সমর্থকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়। আরএসপি বিধায়ক সুভাষ নস্কর বলেন, “যে ভাবে দলীয় প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে এবং মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।” বাসন্তী ব্লক তৃণমূল সভাপতি মান্নান শেখ অবশ্য বলেন, “আরএসপি-র লোকেরা মিছিল করে যাওয়ার গালিগালাজ করছিল। তাই গ্রামবাসীরা মারধর করেছে। নিন্দনীয় কাজ।” |