পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ছ’দিন আগে। অবশেষে, সোমবার আরামবাগের সিপিএম প্রার্থীরা প্রথম বার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মহকুমাশাসকের অফিসে। কিন্তু তা নির্বিঘ্নে হল না। ওই অফিস চত্বরেই পুলিশের সামনে দফায় দফায় শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া, তাড়া করা এবং চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠল। সাংসদ শক্তিমোহন মালিককেও এক তৃণমূল কর্মী মারধরের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উড়িয়ে দেয় তৃণমূল।
শক্তিমোহনবাবুর অভিযোগ, গোঘাট-আরামবাগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার সময়ে দলের ৪০ জনকে রাস্তা থেকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। কয়েক জনের কাগজপত্রও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “ওরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের দলের নেতাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। প্রার্থীদের কোনও নিরাপত্তা মিলছে না।” অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “সিপিএমে জনসমর্থন নেই। প্রার্থী পাচ্ছে না। মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
অন্য দিকে, এ দিন হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। জয়পুরে ব্লক অফিসে পৌঁছনোর আগেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ তাঁদের মারধর করে মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের দাবি, আট জন আহত হয়েছেন। কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, “পুরো ঘটনাটি আমরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আমাদের দাবি, ব্লক প্রশাসনের বদলে উলুবেড়িয়া মহকুমা প্রশাসনের কাছে আমাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।” একই দাবি তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যও।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় বলেন, “দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কাউকে মনোনয়ন পেশে বাধা দেওয়া যাবে না। সমস্ত জায়গায় অবাধ এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।” মারধরের কথা স্বীকার করে আমতার তৃণমূল নেতা হাফিজুর রহমান বলেন, “কংগ্রেসের লোকজনই প্রথমে আমাদের এক নেতাকে পেটায়। ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের কর্মীদের একাংশ প্রতিবাদ করেন।”
|
খারাপ ফলের আশঙ্কা, মেধাবী ছাত্রী আত্মঘাতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • উত্তরপাড়া |
উচ্চ মাধ্যমিকে খারাপ ফলের আশঙ্কা ছিল। যে কারণে ফল প্রকাশের আগেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় মেধাবী ছাত্রীটি। দেখা গেল, ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হিন্দমোটরের আদর্শনগরে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মনীষা শর্মা (১৭)। হিন্দমোটর হাইস্কুল থেকে এ বার পরীক্ষা দিয়েছিল সে। বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই আশানুরূপ ফল হবে না বলে দুশ্চিন্তা করছিল মনীষা। এ দিন টিভিতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির সাংবাদিক সম্মেলন দেখে মেয়েটি। তার পরেই সকলের অলক্ষ্যে দোতলায় শোওয়ার ঘরে গিয়ে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে সিলিং পাখা থেকে ঝুলে পড়ে।
খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। পরে স্কুলে গিয়ে জানা যায়, অত্যন্ত ভাল ভাবেই সে পাশ করেছে। এ দিনই শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্ত হয়। মাধ্যমিকেও প্রায় ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল মনীষা। এলাকায় সে জনপ্রিয় ছিল। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। |