|
|
|
|
সিপিএমের তালিকায় নতুন মুখেরই ভিড় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রার্থী তালিকায় তরুণদেরই গুরুত্ব দিল সিপিএম। পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের ৬৭টি আসনের মধ্যে ৬২টিতে প্রার্থী দিচ্ছে দল। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ৩১ জনের বয়সই চল্লিশের নীচে। ১২ জন আবার শুধুই সমর্থক। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকারও মানছেন, “তরুণদের তো সুযোগ করে দিতেই হবে।”
সোমবারই জেলা পরিষদের অধিকাংশ আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরা। মেদিনীপুর, খড়্গপুর থেকে ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল সর্বত্রই এ দিন সকাল থেকে শুরু হয় মনোনয়ন জমার তোড়জোড়। খড়্গপুর মহকুমাশাসকের অফিসের অদূরে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই মনোনয়নপত্র পূরণ করেন প্রার্থীরা। পরে এসডিও অফিসে গিয়ে তা জমা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরে দলের জোনাল অফিসের সামনে থেকে দলীয় প্রার্থীরা মিছিল করে কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছন। পরে মেদিনীপুর এসডিও অফিসে তাঁরা মনোনয়ন জমা দেন। দলীয় সূত্রে খবর, সাঁকরাইল ব্লক থেকে দলের প্রার্থী হচ্ছেন ভূপতি টুডু, নারায়ণগড় থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বনশ্রী সিংহ, খড়্গপুর- ২ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন ময়না জানা, মেদিনীপুর সদর ব্লক থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মনিকা রায়, ডেবরা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন শেখ মানোয়ার আলি, ঘাটাল থেকে প্রার্থী হচ্ছেন হারাধন দোলুই প্রমুখ। এঁদের কেউই দলের সদস্যও নন, পদাধিকারীও নন। শুধুমাত্র সিপিএমের সমর্থক। পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র দলের সমর্থকদের জেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত এবং সেই সিদ্ধান্তে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন দলের একটি নির্দিষ্ট রণকৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। |
|
মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছেন সিপিএম প্রার্থীরা। |
দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে দাবি উঠছিল, যাঁদের বয়স হয়েছে, তবু নির্বাচনে টিকিট পাচ্ছেন, তাঁদের ব্যাপারে দল সতর্ক হোক। সিপিএমের এক জেলা নেতার কথায়, “এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এখনও এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তবু পদে থাকতে চান। প্রার্থী হতে চান। তবে এ বার তরুণদেরই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” বস্তুত, নতুনদের তুলে আনতে এ বার জেলা পরিষদের চারজন কর্মাধ্যক্ষকেও প্রার্থী করেনি সিপিএম। জেলা পরিষদের ৯ জন কর্মাধ্যক্ষের মধ্যে প্রার্থী হচ্ছেন ৫ জন। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে দলের অন্দরেই। যদিও দলীয় নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, যাঁদের প্রার্থী করা হয়নি, তাঁদের কারও শরীর অসুস্থ। প্রার্থী হতে অনিচ্ছুক বলে আগেই দলের কাছে জানিয়েছেন। কারও আসন সংরক্ষিত হয়েছে। ফলে, এ বার প্রার্থী হতে পারেননি। রাজনৈতিক মহলে অবশ্য অন্য চর্চাই চলছে। প্রার্থী তালিকায় তরুণদের গুরুত্ব দিয়ে সিপিএম হারানো জমি ফিরে পেতে পারে কি না, সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|