শ্মশানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়া ম্যাটাডর যাত্রীদের মধ্যে মৃত্যু হল অভি বসাকের (১৭)। ওই দুর্ঘটনায় তার বাঁ হাত কনুই থেকে কাটা পড়েছিল। পুলিশ জানায়, রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে অভির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার এক আত্মীয়ের দেহ দাহ করতে যাচ্ছিল অভি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা সুনীল বসাক ও কয়েক জন আত্মীয়। দু’নম্বর জাতীয় সড়কে বালি হল্টের কাছে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন সুনীলবাবু, অভি ও সুকুমার পোদ্দার নামে আর এক ব্যক্তি। আহতদের প্রথমে বালি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও পরে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুকুমারবাবু ও সুনীলবাবুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
|
তিন দিন ধরে নিখোঁজ দুই যুবকের খোঁজে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার জিটি রোড অবরোধ করল জনতা। শ্রীরামপুরের খটিরবাজারে প্রায় আধ ঘণ্টা অবরোধ চলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিখোঁজ দুই যুবকের নাম সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় এবং বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। বাড়ি স্থানীয় পিকে দাস লেনে। সুমন্ত রোজভ্যালী সংস্থার কর্মী। বিশ্বজিৎ একটি মোবাইল সংস্থায় কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশ্বজিতের মোটরবাইক নিয়ে দু’জনে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে তাঁদের খোঁজ মেলেনি। শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসডিপিও (শ্রীরামপুর) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’জনের খোঁজ চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
দু’দিন আগেও নদী ছিল শুকনো। হঠাৎই দ্বারকেশ্বরে জল বেড়ে আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ভেসে গেল যুগিদহ ফেরিঘাটের বাঁশের সেতু ও নৌকা। রবিবার সকালে আতঙ্ক ছড়ায় গোঘাটের ভাদুর, কুমুরশা, মন্ডলগাঁথি, বিরামপুর, বেলি, শ্যামবাটি ও খানাকুলের কিশোরপুর, ঘোষপুর, ঠাকুরানিচক গ্রামের মানুষ। দুপুরের পর জল কমতে শুরু করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার প্রিয়ম পাল বলেন, “বাঁকুড়ায় গত কয়েক দিনে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণেই দ্বারকেশ্বরের জল বেড়েছে। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই জলের উচ্চতা কমে যায়। আতঙ্কের কারণ নেই। যুগিদহ ফেরিঘাট মালিক বাবলু হাজরা বলেন, “ভোরে ফেরিঘাট চালু করতে এসে দেখি সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। একটি নৌকাও ভেসে যায়।” রায়পুর,মানিকপাটে আরও দু’টি নৌকা ভেসে গিয়েছে। |