ঘুমের দেশে

২৯ মে, সকাল ৮টা ১২। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার ফোন বেজে উঠল। স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ৯৮৩০০-৫৬০০৪। ঋতুপর্ণ। “শোন, আমরা কিন্তু ব্যোমকেশ ৯ অগস্ট রিলিজ করব, প্রোমোশনটা নিয়ে বসতে হবে। আর শোন, এর পর সেপ্টেম্বরে ‘দেবী চৌধুরানী’ শুরু করব ভাবছি,” বলেন ঋতুপর্ণ। “তাহলে কি আমরা আজ দেখা করব?” জিজ্ঞেস করেন শ্রীকান্ত। “আজকের দিনটা ছেড়ে দে, কালকে দেখা করি। আজকে শরীরটা ভাল নেই,” বলে ফোন রেখে দেন ঋতুপর্ণ। শেষ দিকের খুব কাছের মানুষ শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে এই শেষ কথাবার্তা ঋতুপর্ণ ঘোষের...

শেষ বিবিএম প্রসেনজিৎকে: মৃত্যুর আগের দিন দুপুরে বহু দিনের বন্ধু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেও বিবিএম করেন ঋতুপর্ণ। ‘আমার শ্যুটিং শেষ, একদিন বাড়ি আয়। আড্ডা হবে।’

আনন্দplus

জীবনের শেষ দিনের শ্যুটিং। শ্যুটিংয়ে প্রতিদিন সুজয় ঘোষ ও
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের পাঞ্জাবির হাতা নিজের হাতে গুটিয়ে দিতেন

শেষ কয়েক দিন ‘সত্যান্বেষী’র এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার শুভেন দাসের উপর খুব ভরসা করতেন। শুভেনের সঙ্গেই শেষ বার কথা বলে ঘুমোতে গিয়েছিলেন।

তাঁর জীবনের শেষ ছবির শ্যুটিংয়ে লাঞ্চে প্রায় রোজই খেতেন, ভাত আর মাছের কালিয়া। শেষ দিন মেনু ছিল মাংস আর চিংড়ি মাছের মালাইকারি। কিন্তু শেষ দিন একা একা মেক আপ ভ্যানে গিয়ে শুয়ে পড়েন। খাননি কিছুই।

লঙ্কাগুঁড়ো আর নুন দিয়ে কাঁচা আম খাওয়ার নেশা হয়েছিল শেষ কয়েক দিন। “অনেক বার বারণ করেছিলাম সবাই। কিন্তু ঋতুদা কী শোনার লোক,” বলছিলেন শুভেনবাবু।

আনন্দplus

শেষ দিন শেষ বারের মতো মনিটরের সামনে। তখন কে জানত

মৃত্যুর আগের দিন সকালে যে ইমোডিয়াম ওষুধ খেয়েছিলেন। রাতে ‘চাউম্যান’ রেস্তোরাঁ থেকে চাইনিজ খাবারের অর্ডার দেন। ডিভিডি-তে একটি সিনেমা দেখার পর সাড়ে আটটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন।

শেষ দিকে দিনে প্রায় ১৫টা মতন ওষুধ খেতেন। অনেক সময়ই হামানদিস্তাতে ওষুধ গুঁড়ো করে পুরোটা গিলে নিতেন।

তাঁর শেষ সম্পূর্ণ কাজ ছিল ‘রাঙা পিসি’। যা তিনি স্টার জলসা চ্যানেলের জন্য তৈরি করেন। অভিনয় করেছিলেন গার্গী রায়চৌধুরী।


ঋতুদার সঙ্গে কাজ করে বুঝতে পেরেছি
পরিচালক হিসেবে ওঁর প্রতিভার দশ ভাগের
এক ভাগও আমার নেই। ঋতুদার কাছে শিখেছি
সূক্ষ্ম জিনিসের প্রতি যত্নশীল কী ভাবে হতে হয়।

‘রাঙাপিসি’ শ্যুটিংয়ের শেষ দিনে
ঋতুদা আমায় একজোড়া কানের দুল
উপহার দিয়েছিল। আর বলেছিল, মিডিয়ায় কবে
কথা বলবি আমি তোকে বলব।

লাস্ট তিন-চার মাস সকালে কাছের মানুষদের নানা রকম ফুল কিনে আনতে বলতেন।

১০
মৃত্যুর দু’দিন আগে মতি নন্দীর স্ত্রী নীতি নন্দীকে ফোন করে মতি নন্দীর তিনটে গল্পের ফিল্ম রাইটস কিনতে চান। গল্পগুলো ছিল, ‘বারান্দা’, ‘একটি পিকনিকের মৃত্যু’ এবং ‘পুবের জানালা’।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.