|
|
|
|
প্রকাশ্যে কলেজছাত্রীর
শ্লীলতাহানি ফের অসমে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
|
প্রকাশ্য রাজপথে এক ছাত্রীর পোশাক খোলার চেষ্টা চালাচ্ছে তারই সাত বন্ধু। এক বন্ধু গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করছে। পরে সেই ছবি ব্লুটুথের মাধ্যমে ছড়িয়েও দেওয়া হল কলেজে।
গত বছর ৯ জুলাই গুয়াহাটির খ্রিস্টান বস্তিতে হওয়া ঘটনার পর, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রায় একই কায়দায় লখিমপুর জেলার নারায়ণপুরে এক কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হল। সেটি ছিল রাতে, পানশালার সামনের ঘটনা।
আর এটি ঘটল সকালে। কলেজ শিক্ষকের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন পড়ে ফেরার পথে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটলেও পুলিশ এখনও অবধি একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি ছাত্ররা পলাতক।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? অভিযোগকারিণী পুলিশকে জানিয়েছে, মাধবপুর কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বাড়িতে সে পড়তে গিয়েছিল। পড়ে ফেরার পথে, তার কলেজেরই বিজ্ঞান বিভাগের সাত ছাত্র তাঁকে ঘিরে ধরে। ছাত্রীটিকে জড়িয়ে ধরে পোশাক খোলার চেষ্টা হয়। অন্য এক ছাত্র ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ছবি তুলছিল। মেয়েটি চীৎকার করতে থাকে। পরে অন্য লোকজন এসে পড়ায় ছেলেগুলি পালায়।
মেয়েটি প্রথমে এই ঘটনার কথা লজ্জায় বাড়িতে জানায়নি। কিন্তু কলেজে তাঁর বন্ধুরা জানায়, সকালের ঘটনার মোবাইল ভিডিও, ব্লুটুথের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে পড়ে মেয়েটি। বাড়িতে সব কথা জানাবার পরে, ওই ছাত্রীর বাবা-মা নারায়ণপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যতম অভিযুক্ত চিত্তরঞ্জন বনিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু ধলপুর ফাঁড়ির পুলিশকর্মীর ছেলে তথা ঘটনার প্রধান পাণ্ডা উদ্ধার বরা ও অন্য পাঁচ অভিযুক্তকে এখনও ধরা যায়নি।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৪ ও তথ্য প্রযুক্তি অপরাধ আইনের ৬৬ নম্বর শাখায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার জেরে নারায়ণপুরের বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ দেখায়। অভিযুক্তদের কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবিও উঠেছে।
রাজ্য মহিলা কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন রুনুমি গগৈ বলেন, “ঘটনাটি জানতে পেরেই কমিশনের তরফে জেলা পুলিশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে ঘটনার বিশদ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি আমরা। পুলিশকে বলা হয়েছে যত শীঘ্র সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে।” |
|
|
|
|
|