এক আদিবাসী তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এলাকার ৫ যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদহের গাজল থানার বটতলি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ওই তরুণীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জন পালিয়ে গেলেও গণধর্ষণে অভিযুক্ত অন্য তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার ধৃতদের মালদহ আদালতে তোলা হয়। মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “পলাতক দুই অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই আদিবাসী মহিলার চিকিৎসা চলছে।” |
পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২৮ মে পর্যন্ত জেলায় ১১টি গণধর্ষণ-সহ ১০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শুধু ধর্ষনের ঘটনাই নয়, গত পাঁচ মাসে জেলার ১৫টি থানায় ৪৯৫ টি নারী নিযার্তনের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। সম্প্রতি ইংরেজবাজার থানা এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বছর আগে গাজলের বটতলি গ্রামে বিবাহিত ওই তরুণী’র সঙ্গে তাঁর স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তার পর থেকে তিনি মায়ের সঙ্গে থাকেন। মা ও মেয়ে দিনমজুরি করে সংসার চালান। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির পাশে মাঠে শৌচকর্মের জন্য যান। সেই সময় পাঁচ অভিযুক্ত তরুণীকে জোর তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরের ধারে ঝোপে নিয়ে মুখে কাপড় গুঁজে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পাঁচজন পালানোর চেষ্টা করতেই ওই তরুণী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এলাকার লোকজন ছুটে গিয়ে তিন জনকে ধরে ফেলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুজিত পাহান, অমল রাজবংশী এবং খোকা হাঁসদা। ওই এলাকাতেই তাদের বাড়ি।
তরুণীর মা জানান, বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা মেয়েকে মারধর করেছে। চিৎকার করতে করতে ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। রাতে গ্রামবাসীরা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত তিন জনকে ধরে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা অভিযোগ স্বীকার করে।
জেলায় একের এক ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। তিনি এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “জেলায় আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। এতেই একের পর এক ধর্ষণ-সহ নারী নিযার্তনের ঘটনা বেড়েই চলেছে।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও বলেন, “গণধর্ষণের ঘটনাটি খুব মর্মান্তিক। পুলিশকে অভিযুক্ত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে বলেছি। দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।”
|
(২০০৮) |
(২০০৯) |
(২০১০) |
মামলা- ৭৩৭,
চার্জশিট- ৬৪৮,
ফাইনাল রিপোর্ট-৩৪,
তদন্ত চলছে-৫৩। |
মামলা- ১১৯৬,
চার্জশিট- ১০৮২,
ফাইনাল রিপোর্ট-৪৯,
তদন্ত চলছে-৬৩। |
মামলা-১২০৯,
চার্জশিট-১১০৩,
ফাইনাল রিপোর্ট-৪৪,
তদন্ত চলছে-৬০। |
|
(২০১১) |
(২০১২) |
(২০১৩) |
মামলা-১৩৭৬,
চার্জশিট-১২২২,
ফাইনাল রিপোর্ট- ৪১,
তদন্ত চলছে-১১১। |
মামলা-১৬৭৮,
চার্জশিট-১২০২,
ফাইনাল রিপোর্ট-২৭,
তদন্ত চলছে-৪৪৭। |
মামলা-৯৪,
চার্জশিট-২১৯,
ফাইনাল রিপোর্ট-১,
তদন্ত চলছে-২৭২। |
|
(২৮ মে অবধি) তথ্যসূত্র: জেলা পুলিশ |