টুকরো খবর
কাঁঠালগুড়ির বৈঠক ভন্ডুল
বৈঠকে মালিকপক্ষ না আসায় কাঠালগুড়ি চা বাগান চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিল। বুধবার জলপাইগুড়িতে ডেপুটি লেবার কমিশনারের দফতরে বন্ধ বাগান নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধি হিসাবে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকলেও মালিকপক্ষ না আসায় বৈঠক ভেস্তে যায়। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “খুব দ্রুত বাগানটি চালু করা নিয়ে ফের বৈঠক ডাকা হবে। ১০০ দিনের কাজ চালু রাখা-সহ প্রকল্পের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের মিটিয়ে দেওয়া হবে।” বাগানটির মালিক নরেন্দ্র বারেলিয়া বলেন, “কিছু সমস্যার জন্য বৈঠকে যেতে পারিনি।” প্রশাসনিক সূত্রে খবর অন্য বাগানে ৯৫ টাকা মজুরি দিলেও কাঠালগুলি বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ৬৭ টাকা হারে দৈনিক মজুরি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ। শ্রমিক অসন্তোষের অভিযোগ তুলে গত ১৪ মে বাগানে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলান মালিকপক্ষ। এরই মধ্যে ওই বাগানে তিন জনের মৃত্যু হয়। অনাহার ও অপুষ্টিজনিত রোগে তাঁরা মারা গিয়েছেন বলে শ্রমিক সংগঠন দাবি করে। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা আরএসপি’র চা শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহর তিরকে বলেন, “বাগান চালু হওয়া না পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের কাজ চালাতে জেলাশাসককে বলা হয়েছে।” কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন এনইউপিডব্লু নেতা মনি ডার্নাল বলেন, “যাতে শ্রমিক মৃত্যু না হয় তা প্রশাসনকে দেখতে হবে।”

সময়ে বেতন না মেলায় ক্ষুব্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা
মাসের শুরুতে বেতন না-মেলায় ডুয়ার্সের মালবাজার মহকুমার মেটেলি ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যাঙ্কে বেতনের চেক ভাঙাতে ২০ দিন সময় লাগছে। ওই পরিস্থিতিতে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের। সমস্যার কথা অস্বীকার করেননি ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক সুপর্না বর্মন। তিনি বলেন, “কর্মীদের বেতনের চেক ভাঙাতে দেরি হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।” গত জানুয়ারি মাস থেকে ২০৬ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বেতনের ওই সমস্যা চলছে বলে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। কর্মীরা জানান, কয়েক মাস আগেও সুসংসহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের ব্লক দফতর থেকে হাতে বেতন দেওয়া হত। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পরে তা ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে শুরু হয়ে যায় অনিয়ম। এক মাসের বেতন অন্য মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী রেমা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এপ্রিল মাসের বেতন মে মাসের গোড়া। মেলার কথা। কিন্তু মে মাস শেষ হতে চললেও কর্মীরা পায়নি। সময় মতো বেতন না মেলায় সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্য এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শিপ্রা সরকার জানান, বেতন সময় না মেলায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

সামর্থ্য নেই, বিজ্ঞান পড়তে পারবে না সুরজ
মাধ্যমিকে কচুয়া বোয়ালমারি হাইস্কুল থেকে সর্বোচ্চ ৬২২ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে দিনমজুরের ছেলে সুরজ মৃধা। পরীক্ষায় সুরজ প্রাপ্ত নম্বর ইংরেজিতে ৮৬, বাংলায় ৮০, অঙ্কে ৯৫, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৩, জীবন বিজ্ঞানে ৮৩, ইতিহাসে ৯২ এবং ভূগোলে ৯৩ নম্বর পেয়েছে। নন্দনপুর বোয়ালমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দপল্লি বালুরঢিপ গ্রামের বাসিন্দা সুনীল মৃধা দিনমজুর। কাজ না পেলে তিনি হলদিবাড়ি হাটে সবজি বিক্রি করেন। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও পড়াশুনোর খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে এসেছে সুরজ। আপাতত তাই ঠিক করেছে কলা বিভাগেই ভর্তি হবে। সুরজের বাবা সুনীলবাবু এবং মা ভানুবাবু বলেন, “বিজ্ঞান নিয়ে ছেলের পড়ার ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সামর্থ্য নেই। স্কুলে কলা বিভাগেই পড়বে বলে ঠিক করেছে।” সুরজ বলে, ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে পড়ে শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। বুঝতে পারছি না কতদূর পড়াশোনা করতে পারব। কচুয়া বোয়ালমারী হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জীতেন্দ্রনাথ সরকার জানান, সুরজকে স্কুল থেকে সর্বতভাবে সাহায্য করা যাবে। কেই ওর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসলে ছেলেটির স্বপ্ন সফল হতে পারে।

নয়া দায়িত্বে শিখা
নারী মোর্চার সভানেত্রী পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী শিখা রাইকে বুধবার দলের দার্জিলিং জেলার মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হল। দার্জিলিং জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সুস্মিতা সেনগুপ্ত তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। কালিম্পঙের সভায় তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। ভাল কাজ করার আশাতেই তৃণমূলে যোগদান বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “মোর্চায় থাকাকালীন অনেক কাজ করতে পারিনি,এখন তা পারব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.