ধর্ষণের পর কেরোসিন তেল ঢেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে দিনহাটা থানার বাইশগুড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ছাত্রীকে বাড়িতে রেখে তার বাবা ও মা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যান। রাতে ওই কিশোরীর সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন তার বৃদ্ধ ঠাকুর্দা। অভিযোগ, দরমার বেড়ার দরজা ভেঙে ঢুকে প্রতিবেশী এক যুবক ওই কিশোরীকে মুখে কাপড় গুঁজে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে। ভোর নাগাদ ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘরে কেরোসিন গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ওই ছাত্রী।
ছাত্রীর চিৎকার ও আগুনের শিখা দেখে ঠাকুর্দা ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরা ওই কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। দুপুরে ছাত্রীটির মৃত্যু হয়। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “ধর্ষণের লজ্জায় আত্মহত্যা করতেই ওই কিশোরী গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে জানিয়েছে। মনোজ বর্মন নামের অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক পাওয়ার টিলার চালান। এ দিন আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকল আসে। দমকল কর্মীদের একটি গাড়িতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। মৃতার মা দিনহাটা থানায় একটি অভিযোগও রুজু করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক ফরওয়ার্ড ব্লকের সক্রিয় কর্মী। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “অভিযুক্ত যুবক ফরওয়ার্ড ব্লকের সক্রিয় কর্মী। দ্রুত অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশকে বলা হয়েছে।” ফরওয়ার্ড ব্লকের দিনহাটার বিধায়ক তথা জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “রবীন্দ্রনাথবাবু গোয়েন্দা হয়ে গিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করার আগেই সব জেনে যাচ্ছেন। মনোজ বলে ওই এলাকায় আমাদের কোনও কর্মী নেই।” স্থানীয় মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রধান বুদ্ধানন্দ রায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। |