তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ধৃত জিটিএ কাউন্সিলরকে ছাড়ানোর জন্য লাগাতার আন্দোলনের জেরে ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক পিছিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে পাহাড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। মোর্চার অন্দরের খবর, ইতিমধ্যেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রেক্ষাপট মসৃণ করতে দ্রুত আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্যও দলের একাংশ চাপ বাড়াচ্ছেন। ঘটনাচক্রে, মোর্চার তরফে জিটিএ-এর অফিস থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সব অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। আজ, বুধবার মোর্চা নেতারা ফের বৈঠকে বসার কথা। রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট আশ্বাস পাওয়া গেলে আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মোর্চা সূত্রের খবর। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “সোমবার সব জায়গায় সফল ভাবে কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। আমাদের বার্তা দেওয়ার ছিল আমরা দিয়েছি। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। কাজের আর কোনও সমস্যা হোক তা আমরা চাই না।” পাশাপাশি, ত্রিপাক্ষিক বৈঠক যাতে নির্বিঘ্নে হয় সেই ব্যাপারেও তাঁরা আন্তরিক বলে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জানান।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত ২৪ মে পাহাড়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মহাকরণে ব্যস্ততার জন্য রাজ্যের শীর্ষ কর্তাদের ওই সময়ে বৈঠকে থাকা সম্ভব হতো না বলে তা পিছিয়ে ৩ জুন করা হয়। ইতিমধ্যে গরুবাথানের তৃণমূল নেতা খুশনারায়ণ সুব্বার বাড়িতে আগুন দেওয়ার মামলায় মোর্চার কাউন্সিলর চন্দ্র ইয়নজয়ন গ্রেফতার হন। মোর্চা ডিএম, এসডিও অপিসের সামনে অনশনে বসেছে। ফলে, ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ফের পিছিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে পাহাড়ের নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে, দার্জিলিঙে জেলাশাসকের দফতরের সামনে অনশনে বসা জিটিএ সদস্যদের রক্তচাপের সামান্য হেরফের হয়েছে বলে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান। |