|
|
|
|
দিনের রিপোর্ট দিতে বলল নির্বাচন কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রতি দিনের রিপোর্ট পাঠাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির এক দিনের মাথায় এমনই নির্দেশ পৌঁছল পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের কাছে। রাজ্য-নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শুধু তাই নয়, পুলিশকে বেশ কিছু পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন, যারা বুথ দখল করে, শাসায়, ভয় দেখায়, তাদের নামের একটি তালিকা তৈরি করা, এলাকায় চোলাই মদের কারখানা থাকলে তা ভেঙে ফেলা, যদি কেউ বেআইনি ভাবে মদ মজুত করেন, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা, তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা, গ্রেফতারি পরোয়না কার্যকর করা প্রভৃতি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতেই এই পদক্ষেপ।
কমিশনের কাছে রিপোর্টে ঠিক কী কী উল্লেখ করতে হবে? পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত যা ঘটবে তার সবই। যেমন, সংঘর্ষ হল কি না, হলে জখম ক’জন, কারা যুক্ত ইত্যাদি। সঙ্গে জানাতে হবে, তল্লাশি চালিয়ে কোনও অস্ত্রশস্ত্র কিংবা বিস্ফোরক উদ্ধার হল কি না।
নির্বাচন এলেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়িায় শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই। রাজ্যে পালাবদলের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলায় তৃণমূল একেবারে কোণঠাসা ছিল। জেলার অধিকাংশ এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল সিপিএমের। পালাবদলের পর পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। জেলার অধিকাংশ এলাকাতেই তৃণমূলের প্রভাব বেড়েছে। তাই নির্বাচনে তৃণমূল যেমন প্রভাব ধরে রাখতে মরিয়া, সিপিএমও তেমন হারানো জমি পুনরুদ্ধারে সক্রিয়। দু’পক্ষের এই মনোভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকছেই। ইতিমধ্যে জেলার কয়েকটি এলাকায় গোলামালের ঘটনাও ঘটেছে। এ কারণেই কড়া নজরদারি কমিশনের। |
|
|
|
|
|