দমকলের ছাড়পত্র-সহ নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না-থাকলে ১৫ জুন সব বেসরকারি স্টুডিওর দরজা বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মহাকরণে বৈঠকের পর এ কথা জানান আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা, বারুইপুর ও সোনারপুর পুর-এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ৩৪টি বেসরকারি ‘স্টুডিও’। একটিতেও দমকলের ছাড়পত্র-সহ সংশ্লিষ্ট কোনও দফতরেরই অনুমতি নেই। ৫ এপ্রিল ম্যুর অ্যাভিনিউয়ে দাসানি স্টুডিওতে আচমকা আগুন লাগে। পরে তথ্য দফতরের কাছে খবর আসে, দাসানি-সহ অধিকাংশ স্টুডিওরই দমকলের ছাড়পত্র নেই।
টালিগঞ্জের বিধায়ক ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপরে স্টুডিওপাড়ার দেখভাল করার দায়িত্ব রয়েছে। দাসানি স্টুডিওর ঘটনার পরে শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক, টিভি চ্যানেলগুলি এবং স্টুডিওগুলির মালিকদের নিয়ে টেকনিশিয়ান স্টুডিওয় দু’দুবার বৈঠকও করেন অরূপবাবু। সেখানে পুলিশ প্রশাসন, কলকাতা পুরসভা ও সোনারপুর, বারুইপুর এবং মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যানেরা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার মহাকরণে তৃতীয় দফার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজকদের প্রতিনিধিরা এলেও এ দিন স্টুডিওগুলির মালিকেরা কেউ আসেননি। |
পরে মন্ত্রী বলেন, “আগের দু’টি বৈঠকেই স্টুডিওগুলির মালিকদের স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, দমকলের ছাড়পত্র না-নিলে, শিল্পী-কলাকুশলীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না-থাকলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। তখনই ঠিক হয়, স্টুডিওগুলি উপযুক্ত পদক্ষেপ না-করলে ১৫ জুন তাদের দরজা বন্ধ করে দেবে রাজ্য।” অরূপবাবু আরও বলেন, “আগের বৈঠকগুলিতে এ-ও বলেছিলাম, যে কোনও ধরনের অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে সরকার সব রকম সাহায্য করবে। কিন্তু তার পরেও মালিকদের থেকে সাড়া মেলেনি।”
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, জি বাংলার সিইও সুজয় কুট্টি, স্টার জলসার সিইও শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য তথ্য দফতরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য প্রমুখ। শ্রীকান্ত বলেন, “স্টুডিও বন্ধ হলে বাংলা বিনোদন চ্যানেলগুলিকে ঘিরে যে ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে, প্রতিদিন তার ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি টাকা। কিন্তু মানুষের জীবনের দাম অনেক বেশি। তাই আমরা স্টুডিও বন্ধ করার সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি।” চ্যানেল কর্তা সুজয় কুট্টি বলেন, “স্টুডিও, শিল্পী, কলাকুশলী এবং চ্যানেল সবাই একসঙ্গে সহযোগিতা না-করলে কী করে চলবে?”
|