২০১৩-এ সাফল্য উত্তরের জেলায় |
নজরকাড়া ভাল ফল রায়গঞ্জ করোনেশনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবছরও নজরকাড়া সাফল্য ধরে রাখল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের পড়ুয়া অর্ণব সিংহ ৬৭৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে অষ্টম স্থান দখল করেছে। স্কুলের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে ফারুক ইকবাল ও মুন চৌধুরী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৬৬৪ ও ৬৬২। এবছর করোনেশন স্কুল থেকে ১৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই পাশ করেছে। ৮৬ শতাংশ থেকে ৯৬ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছে ২৪ জন পড়ুয়।। তাদের মধ্যে ৬৩০ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ১৬ জন পড়ুয়া। ৫২৫ বা তার উপরে নম্বর পেয়েছে ৮৫ জন পড়ুয়া। |
|
অর্ণব সিংহ। —নিজস্ব চিত্র। |
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলের সবাই এবং অভিভাবকদের সারা বছরের দলগত পরিশ্রমের জেরেই করোনেশনের পড়ুয়ারা মাধ্যমিকে ধারাবাহিকভাবে ভাল ফল করে। এবার পড়ুয়াদের সাফল্যে আমরা খুশি ও গর্বিত।” স্কুল সূত্রের খবর, গত বছর স্কুল থেকে ৬৬৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে সম্ভাব্য দশম স্থান দখল করেছিল অনির্বাণ সাহা। এছাড়াও ওই বছর ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পায় ১১৯ জন পড়ুয়া।
প্রতিবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় করোনেশনের ভাল রেজাল্টের কারণ হিসাবে শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, শিক্ষাবর্ষের ২০০ দিনই মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের অতিরিক্ত যত্ন নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা ক্লাস করান। টেস্ট পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সমস্ত পড়ুয়াকে মডেল প্রশ্নপত্র ধরে টানা দুমাস নিখরচায় কোচিং-র ব্যবস্থা করা হয়। টেস্ট পরীক্ষায় যে সমস্ত পড়ুয়ারা খারাপ ফল করে তাদের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে পাঠিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ওইসব পড়ুয়াদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে কী অসুবিধা হচ্ছে তা জেনে নেওয়ার পর ওই পড়ুয়াদের আলাদা করে ক্লাস করানো হয়। সঙ্গে নিয়মিত হোমওয়ার্কও রয়েছে। আচমকা ধর্মঘট বা কোনও কারণে স্কুল বন্ধ থাকলে পরদিন পড়ুয়াদের অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ারও রীতি রয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ মাধ্যমিক স্তর সহ সমস্ত ক্লাসের প্রতিটি পড়ুয়ার পড়াশুনার ক্ষেত্রে সমস্যা চিহ্নিত করে যত্ন নিয়ে ক্লাস করান। এতেই ধারাবাহিক সাফল্য মিলছে।” |
|