সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে গ্রামবাসীর টাকা ফেরতের কথা উঠে এল বামফ্রন্টের ইস্তাহারে। এপ্রিলে এক বার ঘোষণা হয়েও পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় বাম খসড়া ইস্তাহার পরিমার্জিত করে সাম্প্রতিক কিছু বিষয় রাখা হচ্ছে। তাতেই অভিযোগ, সারদা-কাণ্ডে তৃণমূল সরকারের একাধিক মন্ত্রী জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁদের আড়াল করতেই তদন্তের নামে প্রহসন হচ্ছে। খসড়া ইস্তাহারে নির্বাচিত পঞ্চায়েতের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা করা হয়েছে। তবে কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে দু’চার কথা বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যা থেকে বামেদেরই একাংশের ব্যাখ্যা, পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস সম্পর্কে তাদের মনোভাব অনেকটাই নরম। পঞ্চায়েতের খসড়া ইস্তাহার নিয়ে সোমবার ফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনা হয়। খসড়া দু’মাস আগে তৈরি হলেও ভোট নিয়ে মামলার জন্য বামেরা তা চূড়ান্ত করেনি। সারদা-কাণ্ড হয়েছে, ধনেখালি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নেমেছে। ভোটে এ সব প্রসঙ্গই তুলে আনতে চান বামেরা। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ইস্তাহার প্রকাশিত হবে।
|
প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) যে সফল পরীক্ষার্থীরা দু’বছর ধরে চাকরি পাননি, তাঁদের নিয়োগের প্রক্রিয়া এ বার শুরু হবে বলে আশ্বাস দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাওয়ায় সরকারি ঘোষণা এখন সম্ভব হচ্ছে না। পিএসসি-র প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সোমবার ঘরোয়া ভাবে ডেকে পাঠিয়ে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। পিএসসি-র প্যানেলভুক্ত ২৮০২ জনকে চতুর্থ শ্রেণির পদে অবিলম্বে নিয়োগ করার জন্য চার মাস আগেই নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনিক আদালত (স্যাট)। তার পরেও নিয়োগ না-হওয়ায় সম্প্রতি রাজ্যপালের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন ৩৯০ জন চাকরিপ্রার্থী। ‘মহাকরণ অভিযানে’র প্রস্তুতিও চলছিল। এই প্রেক্ষাপটে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে মুকুলবাবু ওই প্রতিনিধিদের কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে এই আশ্বাস দিয়েছেন। মুকুলবাবু এ দিন বলেন, “ওদের বলেছি, সরকারের সঙ্গে কথা বলব। আমার ধারণা, তোমাদের চাকরি হবেই। সরকার তোমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।” ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব লিগ পিএসসি-র পরীক্ষার্থীদের নিয়ে গোড়া থেকেই আন্দোলন করে আসছে। যুব লিগের রাজ্য সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী বলেছেন, “আন্দোলনের চাপে ন্যায্য অধিকার দিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। আশ্বাসের অন্যথা হলে আবার আন্দোলন হবে।” মুকুলবাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তীর্থ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের নিয়োগের জন্য পুলিশি যাচাই (পিভিআর) এবং মেডিক্যাল টেস্ট কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে বলে মুকুলবাবু আশ্বাস দিয়েছেন। এখন আমরা অপেক্ষা করে দেখি কী হয়।”
|
চলতি বছরে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশের হার বেড়েছে। ওই পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে সোমবার। গত বারের থেকে প্রায় দুই শতাংশ বেড়ে এ বছর সিবিএসই দ্বাদশে পাশের হার ৮২.১০ শতাংশ। বরাবরের মতো এ বছরেও ছাত্রদের থেকে ভাল ফল করেছেন ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৭.৯৮ শতাংশ, ছাত্রদের ৭৭.৭৮। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১ মার্চ। পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত বা পরবর্তী স্তরের পঠনপাঠন সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সিবিএসই-র হেল্পলাইন ১৮০০১১৮০০০৪-এ ফোন করা যেতে পারে। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই নম্বরে টেলিফোন করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। ওই নম্বরে যোগাযোগ করে কাউন্সেলর, মনস্তত্ত্ববিদ, বিভিন্ন সিবিএসই স্কুলের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করা যাবে। এই সুবিধা মিলবে ১০ জুন পর্যন্ত।
|
প্রথম: সৌরাশিস বিশ্বাস (৬৮২) ও রূপায়ণ কুণ্ডু (৬৮২)। দ্বিতীয়: অনীশা মণ্ডল (৬৮১)। তৃতীয়: দীপমাল্য বড়াই (৬৭৯)। চতুর্থ: অনীক দাস (৬৭৭) ও বিল্বশিব বসু মল্লিক (৬৭৭)। পঞ্চম: সুদীপ ঘোষ (৬৭৬) ও সৌভিক জানা (৬৭৬)। ষষ্ঠ: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (৬৭৫), অয়ন কর্মকার (৬৭৫), অহীনা নন্দী (৬৭৫), আমিনুল আহসান (৬৭৫)। সপ্তম: পবিত্র প্রামাণিক (৬৭৪), অভীক হালদার (৬৭৪), ঐশ্বর্য রায় (৬৭৪), সৌভিক ডানা (৬৭৪) ও অমিত কুণ্ডু (৬৭৪)। অষ্টম: পার্থপ্রতিম সরকার (৬৭৩), অভীক পাতলা (৬৭৩), ঋত্বিক জানা (৬৭৩), তুফান মণ্ডল (৬৭৩), সুনন্দা মুখোপাধ্যায় (৬৭৩), শোভনা বাগলি (৬৭৩) ও অর্ণব সিংহ (৬৭৩)।
|
এ বারের মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিনও জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগামী বছর পরীক্ষা শুরু হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। ২০১৪-র মাধ্যমিকের রুটিন: ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষা প্রথম পত্র, ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষা দ্বিতীয় পত্র, ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতিহাস, ১ মার্চ ভূগোল, ৩ মার্চ অঙ্ক, ৪ মার্চ ভৌতবিজ্ঞান, ৫ মার্চ প্রাণিবিজ্ঞান, ৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়। |