অনিশ্চিত বাজারেও সোমবার অনেকটা বেড়ে গেল সূচক। এ দিন এক ধাক্কায় সেনসেক্স বেড়ে গিয়েছে ৩২৬.৪৪ পয়েন্ট। যার জেরে সেনসেক্স ফের ঢুকে পড়েছে ২০ হাজারের ঘরে। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে দাঁড়ায় ২০,০৩০.৭৭ অঙ্কে।
তবে এখনই বাজারের হাল ভাল বলে মনে করা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ। কারণ, সূচকের ওঠা-পড়া ঘটছে বিশেষ কিছু হাতে গোনা শেয়ারের দাম বাড়া বা কমাকে কেন্দ্র করে। ফিনশোর ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লক্ষ্মণ শ্রীনিবাসন বলেন, “সূচকের পারা বেড়েছে সেনসেক্স বা নিফ্টির অন্তর্গত প্রথম সারির কিছু সংস্থার শেয়ার কেনাবেচাকে কেন্দ্র করেই। তার বাইরে থাকা শেয়ারগুলির দামে কিন্তু জোয়ার আসেনি।” তবে এটা ঠিকই, সূচক বৃদ্ধি পেলে শেয়ার বাজারে একটা চনমনে আবহাওয়া থাকে। সিংহভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, বাজারে মৌলিক উপাদানের পরিবর্তন ঘটেনি।
চলতি সপ্তাহে বাজার নিয়ে কিছু সম্ভাবনার কথাও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। দুটি বিষয় শেয়ার সূচককে হঠাৎ উপরের দিকে তুলতে অথবা নীচের দিকে নামাতে পারে। প্রথমত, এই সপ্তাহেই আর্থিক বৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ হওয়ার কথা। বৃদ্ধির হার বাড়লে, সূচকের অঙ্ক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কমলে, সূচক হাঁটতে পারে উল্টো দিকে। দ্বিতীয়ত, এ সপ্তাহে বৃহস্পতিবারই আগাম লেনদেনের শেয়ার হস্তান্তর এবং দাম মেটানো অর্থাৎ সেট্লমেন্টের দিন। মাসের শেষ বৃহস্পতিবারই এই সেট্লমেন্ট হয়ে থাকে। যে-সব লগ্নিকারী আগাম লেনদেনে শেয়ার বেচে রেখেছেন, তাঁদের ওই দিন তা হস্তান্তর করতে হবে। শেয়ার হাতে না-থাকলে তাঁরা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেয়ার কিনে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন। যাকে বাজারের ভাষায় বলে ‘শর্ট কভারিং’। ফলে চাহিদা বাড়ার হাত ধরে দরও বাড়ার সম্ভাবনা। সোমবার সূচকের বৃদ্ধির পিছনে এই কারণটিই বেশি কাজ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি, আগাম লেনদেনে যাঁরা শেয়ার কিনে রেখেছেন, তাঁদের বৃহস্পতিবারই তার দাম মেটাতে হবে। যাঁদের হাতে দাম মেটানোর জন্য যথেষ্ট টাকা নেই, তাঁরা হাতের শেয়ার বিক্রি করে টাকা সংগ্রহে নেমে পড়বেন। ফলে বাজারে বেড়ে যেতে পারে শেয়ারের জোগান। সে ক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে দাম পড়ার। তাই চলতি সপ্তাহে শেয়ারের দাম দ্রুত ওঠা-পড়া করতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। |