|
|
|
|
ত্রিপুরা |
আর্থিক সংস্থার সম্পত্তির হিসেব চেয়ে সরকারি নোটিস
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
রাজ্যে সক্রিয় বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা ও অন্যান্য চিটফান্ডগুলির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিশদ তথ্য চাইছে ত্রিপুরা সরকার। তিন দিনের মধ্যে প্রশাসনের কাছে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য রোজ ভ্যালী, আই-কোর, বেসিল-সহ ৪৮টি সংস্থার কাছে এই নোটিশ পাঠাচ্ছে আগরতলা তথা ত্রিপুরা-পশ্চিম জেলার জেলা প্রশাসন। পশ্চিমের জেলাশাসক কিরণ গিত্যে বলেন, ‘‘আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্যই এই নয়া
ব্যবস্থা। কোম্পানিগুলিকে চিঠি দিয়ে তাদের সমস্ত সম্পত্তির হিসাব জানতে চাওয়া হচ্ছে।’’
অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির সম্পত্তির হিসাব নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবে আমানতকারীদের স্বার্থ আরও ‘সুরক্ষিত’ করবে? জেলাশাসক কিরণ গিত্যে বলেন, ‘‘কোনও সংস্থা রাজ্য থেকে ব্যবসা গুটিয়ে পালিয়ে গেলে বা আমানতকারীদের প্রতারণা করলে, সেই সংস্থার সম্পত্তিকে আইনমাফিক বিক্রিবাট্টা বা বাজেয়াপ্ত করে রাজ্য সরকার আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করবে। তার জন্যই এখন থেকে এ ধরনের আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।’’ স্থাবর সম্পত্তিগুলি আগেভাগে বিক্রি করে কোনও কোম্পানি যাতে পালাতে না পারে, তার জন্যও ‘নজরদারি’ জোরদার করা হচ্ছে বলে জেলাশাসক জানান।
এই ধরনের অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ত্রিপুরা সরকার ২০০০ সালে একটি আইন চালু করে। সেই আইন অনুযায়ী, কোনও নন-ব্যাঙ্কিং সংস্থা, চিটফান্ড বা অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে এবং সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে, আইন মোতাবেক অভিযুক্ত সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা ‘আট্যাচ’ করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এখন যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সারদা-কাণ্ডের অভিজ্ঞতার নিরিখে তা সম্পূর্ণই প্রথম।
৪৮টি অর্থলগ্নি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে তিন দিনের সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থা উপযুক্ত তথ্য তথা হিসেব না দিতে পারলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও গিত্যে জানান। প্রয়োজন হলে রাজ্যের বাকি সাতটি জেলাতেও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের তরফে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ত্রিপুরার দক্ষিণে গোমতী জেলার জেলাশাসক, মানিকলাল দে জানান, ‘‘ত্রিপুরায় যে সব নন-ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান, চিটফান্ড ইত্যাদি কাজ করছে, তাদের প্রধান কার্যালয় আগরতলা বা আগরতলা-কেন্দ্রিক। তাই পশ্চিম জেলা প্রশাসনের তরফেই সংস্থাগুলির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হচ্ছে। গোমতী জেলায় কোনও কোম্পানির প্রধান কার্যালয় হলে আমাদের জেলা প্রশাসনের তরফেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ |
|
|
|
|
|