রোজকার মতোই হই হই করতে করতে ছোট বাসটায় চড়ে স্কুলে যাচ্ছিল কচিকাঁচাদের দলটা। তখনও ভাবা যায়নি, স্কুল পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই শেষ হয়ে যাবে ছোট্ট ছোট্ট শরীরগুলো। স্কুলবাসের গ্যাসের সিলিন্ডার লিক করে আগুন ধরে যাওয়ায় এক জন শিক্ষিকা এবং ১৬ জন শিশুর মৃত্যু হল পাকিস্তানে। আহত আরও ৮ শিশু।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে ইসলামাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলবাসটির জ্বালানি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরোতে শুরু করার পর হঠাৎই একটি শর্ট সার্কিট ঘটায় আগুন ধরে যায় গাড়িতে। পুড়তে শুরু করে বাসবন্দি শিশুগুলির দেহ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুড়ে শেষ হয়ে যায় ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের ষোলোটি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে।
উদ্ধারকারী সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মৃত শিশুদের দেহ চেনা যাচ্ছে না। |
সন্তানহারা মা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে। শনিবার রয়টার্সের ছবি। |
তাদের অভিভাবকরা ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লাহৌরের হাসপাতালে সরানো হয়েছে। বাসটির চালক পলাতক, তাঁর খোঁজ চলছে।
পুড়ে যাওয়া বাসটি থেকে জ্বালানি গ্যাসের সিলিন্ডারটি আস্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকে গ্যাস বেরোতে শুরু করার ফলেই বিপত্তি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা। ডিজেল এবং পেট্রোলের সস্তা বিকল্প হিসেবে ব্যাপক হারে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার হয় পাকিস্তানে। লক্ষ লক্ষ গাড়িতে এই গ্যাসের সিলিন্ডারই ব্যবহৃত হয় জ্বালানি হিসেবে। এই ধরনের গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে এর আগেও একাধিক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও আহত শিশুদের সর্ব্বোচ্চ মানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। |