বর্ষায় নদী বাঁধের হাল হকিকত কিংবা ভাঙন পরিস্থিতি জানাতে ভরসা এখন এসএমএস।
সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই নির্দেশ জারি করেছেন। শনিবার শিলিগুড়ির সেচ ভবনে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে মন্ত্রীর নির্দেশ, সরজেমিন বাঁধ পরিদশর্নের যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য এখন থেকে দফতরের কন্ট্রোলরুমে এসএমএস করেই জানাতে হবে আধিকারিকদের। |
মন্ত্রী জানান, ‘কন্ট্রোল-রুম’-এ পাঠানো এসএমএসগুলি এখন থেকে প্রতি দিন নিজেই দেখবেন তিনি। রাজীববাবু বলেন, “বর্ষায় দ্রুত
কাজ করাই বন্যা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রধান অস্ত্র। প্রথা মেনে লিখিত রিপোর্ট পাঠাতে গেলে সময় নষ্ট হবে। তাই এসএমএসেই সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট পাঠাতে বলেছি আধিকারিকদের। এর ফলে সময় বাঁচিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”
এসএমএসের সঙ্গে সময় বাঁচাতে চালু হচ্ছে হেল্প লাইন ব্যবস্থাও।
জুন মাস থেকেই উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে দুটি হেল্প লাইন চালু করবে সেচ দফতর। ওই হেল্প লাইনে ফোন করে স্থানীয় বাসিন্দারাও জানাতে পারবেন, তাঁদের গ্রামের ভাঙন পরিস্থিতির কথা। প্রসঙ্গত, মালদহের ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দের আর্জি জানিয়ে শনিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সেচমন্ত্রী জানান, গুণগত মান বজায় রাখতে দফতরের কাজে শুধুমাত্র আইএসআই চিহ্ন থাকা সিমেন্ট, লোহা ব্যবহার করারও
নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সে নির্দেশ সব জেলায় পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। |