সহকর্মীর গুলিতে বনকর্মীর মৃতুর ঘটনায় কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ-ব্যবস্থা চালুর দাবিতে সরব হল বনকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন। দীর্ঘ দিন ধরে প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে বনকর্মীদের মধ্যেও। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের ফরেস্টগার্ড ট্রেনিং সেন্টারে বর্তমানে পুলিশ সুপারের অফিস চলছে। সেই কারণে ট্রেনিং বন্ধ। রাজাভাতখাওয়া প্রশিক্ষণকেন্দ্রটিও বছরখানেক ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন স্বীকার করেন, ২০০৮ সাল থেকে ঝাড়গ্রামের বনকর্মী প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি বন্ধ। রাজাভাতখাওয়াতেও বনকর্মীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি অর্থা ভাবে বন্ধ রয়েছে। বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘খড়্গপুরে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র খোলার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। রাজাভাতখাওয়ার প্রশিক্ষণকেন্দ্রটিও শীঘ্র চালু করা হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপালবাহাদুর বস্তিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মী রতন দে ভুট্টা খেতে হাতি দেখে প্রথমে শূন্যে গুলি চালান। পরে বন্দুকটি পিছনে থাকা বনশ্রমিক দশরথ মিঞ্জের হাতে দেন। রতনবাবু হাতি লক্ষ্য করে পটকা ফাটালে হাতিটি তেড়ে আসে। সেই সময় পিছনে যেতে গিয়ে বনশ্রমিক দশরথ মিঞ্জের উপর পড়ে যান। তখনই বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে রতনবাবুর গয়ে লাগে। তিনি লুটিয়ে পড়েন। বনকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বনশ্রমিকদের বন্দুক চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় না। অথচ প্রায় সময়ই আইন ভেঙে বন্দুক হাতে তাঁদের জঙ্গল পাহারা বা হাতি খেদানোর কাজ করতে হয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়ইজ অ্যাসোসিয়েশনের উত্তরবঙ্গের চেয়ারম্যান নবেন্দু কর বলেন, “বনকর্মীদের পাশাপাশি বনশ্রমিকদের আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।” ফরেস্ট ওয়াচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিহির রায়চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বনকর্মীদের প্রশিক্ষণ বন্ধ। শীঘ্রই তা চালু করতে হবে।”
|
ভালুকের হানায় জখম সাত
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ভালুকের আক্রমণে জখম হলেন সাত ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গোলাঘাট জেলায়। পুলিশ জানায়, আজ কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান থেকে বের হয়ে আসা ভালুকটি কামারগাঁও গ্রামে ঢুকে পড়ে। বিকেল অবধি তার আঁচড়ে সাতজন জখম হয়েছে। তাদের গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভালুকটিকে ঘুম পাড়াবার জন্য কাজিরাঙা পশু উদ্ধার কেন্দ্রের চিকিৎসকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। |