|
|
|
|
|
|
|
নাটক সমালোচনা... |
|
নাম তার সাগিনা মাহাতো |
সত্তর দশকের পর। লিখছেন মনসিজ মজুমদার |
গত শতকের সত্তর দশকে গৌরকিশোর ঘোষের কাহিনি ‘সাগিনা মাহাতো’ খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল তপন সিংহের চলচ্চিত্রে এবং বাদল সরকারের প্রথম অঙ্গনমঞ্চ প্রযোজনায়। একই কাহিনির বাদল সরকারকৃত নাট্যরূপ নিয়ে আলাপের নতুন নাটক (পরিচালনা: পার্থপ্রতিম দেব) চমত্কার নাটকীয় অভিঘাতে এক ঝকঝকে প্রযোজনা। যদিও ১৯৪২-এর একটি সত্য ঘটনা নিয়ে লেখা, মূল গল্পে যে বামপন্থী রাজনীতির কড়া সমালোচনা ছিল, তা কিছুটা নিস্তেজ। তার ফলে নাটকের আবেদন বেড়েছে বই কমেনি। পরিচ্ছন্ন পরিচালনার গুণে, স্বল্প আয়োজনের মঞ্চসজ্জায়, কাহিনির অনাড়ম্বর অথচ জোরালো নাটকীয় উপস্থাপনায় এই প্রযোজনা ‘সাগিনা মাহাতো’র মঞ্চ ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। |
|
পার্থপ্রতিমের সাগিনা প্রযোজনার প্রাণ। অভিনয়ে একটু মেলোড্রামা ও ফিল্মি ছোঁয়া থাকলেও অনায়াসে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে সরল আবেগপ্রাণিত চরিত্রের সাগিনা মাহাতো। এক লড়াকু শ্রমিক নেতা যাকে পার্টি সহকর্মীদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয় মালিকদের স্বার্থে, শ্রমিক আন্দোলন ব্যর্থ করার জন্য। শ্রমিকদের সুখ-দুঃখ, নাচ, গান নেশার দৈনন্দিন জীবনচিত্রের মঞ্চরূপ সার্থক হয়েছে সহযোগী কুশীলবদের নিপুণ একক ও দলীয় অভিনয়ে। পার্টির সনিষ্ঠ কর্মী গৌরী মুখোপাধ্যায় (নন্দিনী ভৌমিক) শান্ত ব্যক্তিত্বে উজ্জ্বল। ভূমিকা ছোট হলেও কমল চট্টোপাধ্যায়ের অনুপম দত্ত খুবই মনোজ্ঞ চরিত্র। অন্যান্য মনে রাখার মতো অভিনয় শিপ্রা পালের ললিতা ও পূরবী নাগের ছেদী ভাবী। |
|
|
|
|
|