|
|
|
|
কিষাণ মাণ্ডির জায়গা নিয়ে বিতর্ক পাঁশকুড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কিষাণ মাণ্ডির জন্য জমি না পেয়ে খাদ্য দফতরের গুদামঘর তৈরির জায়গা দিয়ে দিল প্রশাসন। পাঁশকুড়ায় কনকপুরে সরকারি কৃষি খামারের ওই জমিতে কিষাণ মাণ্ডি তৈরির কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা খাদ্য দফতর। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে গুদামঘর তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা চেয়েছে তারা। সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ায় সরকারি কৃষি খামার চত্বরে খাদ্য দফতরের গুদাম তৈরির জন্য কিছু জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে কিষাণ মাণ্ডির জন্য জরুরি ভিত্তিতে জমির ব্যবস্থা করতে গিয়ে খাদ্য দফতরের চিহ্নিত জমি কৃষি বিপণন দফতরকে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প জমির ব্যবস্থা করা নিয়ে আলোচনা চলছে।” |
|
কনকপুরের সেই জমিতে চলছে কাজ। —নিজস্ব চিত্র। |
কৃষকদের ফসল বিক্রির সুবিধার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি ভাবে কিষাণ মাণ্ডি তৈরির কাজ চলছে এখন। রাজ্য কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে তৈরি ওই কিষাণ মাণ্ডিতে বাজার ছাড়াও হিমঘর থাকবে। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রাম কলেজ ময়দানে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় স্থানীয় হরিপুরে সরকারি কৃষি খামারের জায়গায় কিষাণ মাণ্ডি তৈরির শিলান্যাস করেন। এর জন্য ৫ কোটি ৯৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৮৫ টাকা বরাদ্দ করেছে কৃষি বিপণন দফতর। গত জানুয়ারি মাসে ওই কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৮ মার্চ অনুমোদন মেলার পর কৃষি বাজার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। নন্দীগ্রাম ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার কনকপুরে ও ভগবানপুর-২ ব্লকের বাসুদেবেড়িয়ায় সরকারি কৃষি খামারের জমিতে কিষাণ মাণ্ডি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই দু’টির জন্য ৫ কোটি ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৫০৬ টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। গত ৫ মার্চ টেন্ডার করার পরে ২৮ মার্চ কাজের অনুমোদন মিলেছে। তিনটিতেই কাজ সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ৫৪৮ দিন।
এর মধ্যে ভগবানপুরে সমস্যা না হলেও পাঁশকুড়ায় কনকপুরে সরকারি কৃষি খামারের জমিতে কিষাণ মাণ্ডি তৈরির জায়গা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই জমিতে প্রথমে ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা প্রণবেশ বেরা বলেন, ‘‘পাঁশকুড়ায় কৃষি খামারের কিছু জমি খাদ্য দফতরের গুদাম তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। যদিও সেই জমি হস্তান্তর হয়নি। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার কিষাণ মাণ্ডি তৈরির জন্য কমপক্ষে ৫ একর জমির ব্যবস্থা করতে বলায় খাদ্য দফতরের জন্য চিহ্নিত জমি-সহ প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি দেওয়া হয়েছে। সেই জমিতেই কিষাণ মাণ্ডি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে তার পাশেই আরও প্রায় ৩ একর জমি রয়েছে। সেই জমি খাদ্য দফতরকে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ছাড়াও কাঁথির সারদা, এগরা-১ ব্লকের আকলাবাদ, পটাশপুরের চকগাজিতে সরকারি কৃষি খামারের জমিতে ও তমলুক রেল স্টেশনের কাছে শালগেছিয়ায় কৃষি বিপণন দফতরের জায়গায় কিষাণ মাণ্ডি তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। |
|
|
|
|
|