চিতাবাঘের আতঙ্কে ভুগছেন ডুয়ার্সের লক্ষীপাড়া চা বাগানের শ্রমিকরা। গত দেড় সপ্তাহে বাগানে রাখা খাঁচায় ধরা পড়েছে ন’টি চিতাবাঘ। আরও বেশ কয়েকটি চিতাবাঘ বাগান লাগোয়া এলাকায় দেখা গিয়েছে বলে শ্রমিকরা দাবি করেছেন। শুক্রবারও বাগানে রাখা খাঁচায় একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। বাঘটিকে চাপরামারির জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বন দফতর জানিয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২২ মাসের মধ্যে ১৮ টি চিতাবাঘ খাঁচা বন্দি হয়েছে লক্ষীপাড়া চা বাগানে। বণ্যপ্রানী বিভাগের জলপাইগুড়ির ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “চা বাগানের নিরিবিলি পরিবেশ ও সহজে শিকার পাওয়ার কারণে চিতাবাঘ চা বাগানকে নিরাপদ আশ্রয় বেছে নেয়।” |
বাগানের শ্রমিকরা দাবি করেছেন, প্রায় প্রতি রাতেই শ্রমিকদের বাড়িতে পোষা ছাগল-মুরগি খেতে চিতাবাঘ হামলা চালাচ্ছে। বন দফতর থেকে চিতাবাঘ ধরার খাঁচাও পাঠানো হয়েছে বাগান কতৃপক্ষের কাছে। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলের পর থেকে দিনের আলো কমতে শুরু করলেই সাধারণত চিতাবাঘের হামলা শুরু হয়। যেদিন বাগানের যে দিকে চিতাবাঘ দেখা যায়, সেখানেই রাতের বেলায় খাঁচা বসানো হয়। খাঁচায় পর পর কয়েকটি চিতাবাঘ ধরা পড়লেও আতঙ্ক কাটছে না বাগান শ্রমিকদের।
বাগানের শ্রমিক সর্দার কর্ণে প্রধান বলেন, “প্রায় দিনই শ্রমিকদের কেউ না কেউ চিতাবাঘ দেখছেন। আতঙ্কে অনেকেই কাজে যেতে চাইছেননা। এত বছর ধরে এই বাগানে কাজ করছি কোন দিনও এক সঙ্গে এত চিতাবাঘ ধরা পড়ার কথা শুনিনি।” বাগানের এক শ্রমিক কুসুম মাণ্ডি বলেন, “কাজে মন দিতে পারছি না। প্রায় দিন যে ভাবে চিতাবাঘ বেরোচ্ছে তাতে খুবই ভয়ে ভয়ে কাজ করতে হচ্ছে।”
বাগান মালিকদের সংগঠন ডুয়ার্স ব্রাঞ্চ অব ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব প্রবীর ভট্টাচার্য বলেন, “চিতাবাঘের জন্য কাজের ক্ষতি হচ্ছে। চিতাবাঘ যাতে জঙ্গল ছেড়ে বাগানে না ঢোকে বন দফতরকে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।” ডায়নার জঙ্গল থেকে চিতাবাঘগুলি ওই বাগানে ঢুকছে বলে মনে করছে বন কর্মীরা।
|
কাজিরাঙায় গন্ডার নিধন
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ফের শিকারিদের হাতে মারা গেল কাজিরাঙার একটি স্ত্রী-গন্ডার। বনদফতর সূত্রে খবর, গত কাল সন্ধ্যায় আগরাতলি রেঞ্জের মোহখুটি শিবিরের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়। আজ সকালে ধানবাড়ির জঙ্গলের ভিতর একটি ছোট নদীর পাশ থেকে খড়্গহীন দেহটি উদ্ধার হয়। নিহত গন্ডারটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। শিকারিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। অন্যদিকে, আজ কাজিরাঙার বাগোরি রেঞ্জেও একটি পুরুষ গন্ডারের খড়্গহীন দেহ পাওয়া যায়। চিকিত্সকদের সন্দেহ অন্তত দু’দিন আগে গন্ডারটিকে মারা হয়েছিল। এই নিয়ে চলতি বছরের এই পাঁচ মাসে কাজিরাঙায় ১৭টি গন্ডার শিকারিদের হাতে প্রাণ দিল। |