|
|
|
|
|
|
মেকলে স্কুল |
দেড়শোয় পা |
শান্তনু ঘোষ |
১৫০ বছরে পা দিল বালির মেকলে স্কুল, এখন যা বালি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।
সম্প্রতি এই উপলক্ষে উৎসবও হয়ে গেল স্কুলে। নানা স্কুল, পুরনো ক্লাবকে নিয়ে প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ। সারা বছর ধরেই
নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে বলে জানিয়েছেন
স্কুল কর্তৃপক্ষ।
|
 |
সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়েছিল ১৮৬৪-তে। বালি পঞ্চাননতলার বাসিন্দা রামজয় দে কিছু মানুষকে নিয়ে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে ছিল সহশিক্ষার ব্যবস্থা। কিন্তু ১৮৮৪-তে বালির জিটি রোডের ধারে রিভার্স টমসন স্কুল (এখন বালি শান্তিরাম বিদ্যালয়) তৈরি হওয়ার পরে শুধু মেয়েরাই রামজয়বাবুর স্কুলে পড়ত। রামজয়বাবুর স্কুলের নাম ছিল তখনকার রাজ্যপালের সচিব সি পি এল মেকলে সাহেবের নামে, ‘মেকলে স্কুল’।
তবে ১৯৩৬-এ রিভার্স টমসন স্কুলের অন্যতম পরিচালক আইনজীবী রঞ্জিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেখানেও সকালে বালিকা বিভাগ চালু হয়। ১৯৩৭-এ রিভার্স টমসন স্কুলের বালিকা বিভাগ ও পঞ্চাননতলার মেকলে স্কুল জুড়ে গিয়ে তৈরি হয় বালি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। কিন্তু মেকলে স্কুল নামটিই লোকমুখে তখন থেকে আজও প্রচলিত।
কেন মেকলে সাহেবের নামে পরিচিত ছিল রামজয় দে’র স্কুল? এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে জনশ্রুতি বলে, মেকলে সাহেব নারীশিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন বলেই সম্ভবত এই নাম। |
|
১৯৪০-এ স্কুলটি সরকারি অনুমোদন লাভ করে। তখন দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত। ১৯৫৭-য় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কলা বিভাগের অনুমোদন মেলে। বিজ্ঞান শাখার অনুমোদন আসে ১৯৬০-এ।
স্কুলে এখন ছাত্রীসংখ্যা ৯০০। শিক্ষিকা রয়েছেন ২৯ জন। প্রাথমিক-সহ পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মণিদীপা দাস বলেন, “পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রীদের খেলাধুলোর উপরেও জোর দেওয়া হয়। এই স্কুলের অনেক ছাত্রী সাঁতার, খো খো, কবাডিতে সুনাম অর্জন করেছে।”
|
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার |
|
|
 |
|
|