গত ৪৮ ঘন্টায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯ টি শিশু মারা গিয়েছে। মৃত শিশুদের মধ্যে একটি ঝাড়খন্ডের বারহাওয়ার। বাকি ৮ শিশু মালদহের ইংরেজবাজার, কালিয়াচক, আড়াইডাঙ্গা, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও গাজলের। শিশু মৃত্যুর পিছনে গাফিলতি নেই জানিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মহম্মদ রসিদ বলেন, “যে ৯টি শিশু মারা গিয়েছে, তার মধ্যে ৪টির ওজন ছিল দেড় কিলোগ্রামের কম। তিনটি শিশু প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। বাকি দুটির সংক্রমণ ছিল। যে অবস্থায় শিশুদের আনা হয়েছিল তাদের বাঁচানো সম্ভব ছিল না। চিকিত্সের গাফিলতি ছিল না।”
|
দুপুর আড়াইটে থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে রইল জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ। ওই ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ১৬০ জন রোগী। লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে অস্ত্রোপচারও। তবে অন্যান্য ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা প্রসূতিদেরও গলদঘর্ম অবস্থা। ওয়ার্ডের সমস্ত ফ্যান ও আলো বন্ধ। সন্ধ্যের পর মোমবাতি কিনে নিজেদেরই আলোর ব্যবস্থা করতে হয়েছে। প্রসূতি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন সুপ্রিয়া সাহা। তাঁর স্বামী রাকেশ সাহা বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকায় আমি নিজে সুপারকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করি। কিন্তু রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। জেনারেটরও চালানো হয়নি।” হাসপাতাল সুপার শাশ্বত মণ্ডলের সাফাই, “পূর্ত দফতর হাসপাতালের বিদ্যুৎ লাইন সারানোর কাজ করছে। এর ফলেই বিপত্তি। তবে বিকল্প হিসাবে জেনারেটার চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন তা চালানো হয়নি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |