চলতি মাস থেকেই লোকশিল্পীদের জন্য পেনশন চালু করার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, সরকারি নানা কাজের প্রচারেও লোকশিল্পীদের সামিল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা অবশ্য মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি পুরুলিয়ার বরাবাজার থানার লটপদা গ্রামের এক বৃদ্ধকে। তিনি ঝুমুর গানের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী সলাবত মাহাতো। গত এক বছর ধরে প্রাপ্য পেনশনের এক টাকাও পাচ্ছেন না ‘লালন পুরস্কার’প্রাপ্ত এই বিশিষ্ট লোকশিল্পী। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণার কথা শুনে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ বললেন, “আমিও তো পেনশন পেতাম, সেটা তো বন্ধ হয়ে গেল! যে সব শিল্পী পেনশন পাচ্ছেন না, সরকারের তাঁদের কথাও ভাবা উচিত।” |
ছোট থেকেই গানের প্রতি টান। শিল্পী বাবা-মাও মেয়ের ইচ্ছেকে অবহেলা করেননি। শুরুটা হয়েছিল বাড়িতেই। বাবার কাছেই তালিম নেওয়া শুরু করে মেদিনীপুরের মেয়ে দেবাঞ্জনা কর্মকার। ১৪ বছরের এই কিশোরীই এ বার টিভির পর্দায় সাড়া জাগানো ‘ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র’ প্রতিযোগিতায় সেরা দশের অন্যতম নির্বাচিত হয়েছে। তার কৃতিত্বে খুশি গোটা শহর, গর্বিতও।
মেদিনীপুর শহরের রামকৃষ্ণনগরের বাসিন্দা দেবাঞ্জনা সমান তালে পড়াশোনাও করে যাচ্ছে। এখন সে নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক টিভি শোয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে মেয়েটি। ৭ বছর বয়সে ই-টিভি-র ‘তারানা’য় যুগ্ম ভাবে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয় দেবাঞ্জনা। ২০০৮ সালে জি বাংলার ‘সারেগামাপা’-তেও যোগ দেয় সে। ২০১১ সালে স্টার প্লাসের ‘ছোটে উস্তাদ’ প্রতিযোগিতাতেও প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছিল সে। এ বার ‘ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র’-এর সূত্রে সুরকার বিশাল শেখর ও সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের স্বীকৃতি পেয়েছে দেবাঞ্জনা। বাবা আশিস কর্মকার ও মা ইন্দ্রাণীদেবী দু’জনেই বলছেন, “সকলের কাছে এই আশীর্বাদ চাইব, যাতে মেয়ে এ বার কিছু করে দেখাতে পারে।”
দেবাঞ্জনার কৃতিত্বে গর্ব অনুভব করছে তার বন্ধুবান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা। সকলেরই বিশ্বাস, ভবিষ্যতে সঙ্গীতজগতে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে এই কিশোরী।
|