|
|
|
|
তারাবাজি |
|
উইকএন্ড জমজমাট |
আগামীকাল উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। রবিবার ইডেনে
আইপিএল ফাইনাল। জমজমাট উইকএন্ড কাটানোর টিপস দিচ্ছেন মীর |
|
উফ্, এমন উইকএন্ড কেন বারবার আসে না?
শনিবার গভীর রাতে ফুটবল দিয়ে কিক অফ আর রবিবার রাতে ক্রিকেটের টেলএন্ডিং। আর কী লাগে!
বাঙালি ফুটবল সম্রাট। ফিফা র্যাঙ্কিংকে বাঙালি একটুও পাত্তা দেয় না। বাঙালি ও সব ষড়যন্ত্র অনেক দেখেছে। না দেখলেও, শুনেছে। আত্মসম্মানের কাছে ও সব র্যাঙ্কিং-ট্যাঙ্কিং... ফুঃ।
ওয়েম্বলি প্লাজা হোটেলে আমি দু’বার ছিলাম। হোটেলটা একেবারে স্টেডিয়ামের গায়ে। দু’বারই গিয়ে শুনেছি, “এই তো কাল-পরশু ম্যাচ হয়ে গেল।” পরের ম্যাচ পর্যন্ত আর থাকতে পারিনি, চলে আসতে হয়েছিল। শুনেছিলাম স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তাটা ম্যাচের সময় এমন লোকে ভরে যায়, ৫-৬ কিলোমিটার দূরে গাড়ি পার্ক করতে হয়। শনিবার রাতে যে কী জ্যাম হবে, তা তো বুঝতেই পারছি। ওয়েম্বলি না দেখার, দুধের স্বাদ অবশ্য ঘোলে নয়, মিল্কশেকে মিটিয়েছিলাম লর্ডসে গিয়ে।
তাই টিভিতে হলেও, শনিবার জার্মান টিম দু’টোর খেলা না দেখলে রবিবারের মাংস হজম হবে না। কিন্তু যেখানে বাঙালি, সেখানেই সমস্যা। শনিবারে বাঙালির সমস্যা ‘হিটলার’ বৌ। ওর হাত থেকে কি রিমোট পাওয়া যাবে? পাব কি পাব না, ভেবে ভেবে তো আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল মিস করা যায় না। তাই আগেভাগেই শনিবারের ম্যাটিনি শোয়ের টিকিট বুক করে ফেলুন। বিকেল বিকেল বৌ-বাচ্চাকে নিয়ে একটা ম্যাটিনি শো মেরে আসতে পারলেই রিমোট পাওয়ার রাস্তা কিছুটা পরিষ্কার। যদি সিনেমা দেখার আনন্দে সিরিয়ালের রিপিট টেলিকাস্টটা বিসর্জন দেয়। ছেলেকে জার্মান রুটি (ওই যে শপিং মলে পাওয়া যায়) স্যুপে ডুবিয়ে খাইয়ে দেবেন। ও-ও জার্মান দলে, থুড়ি আপনার দলে, চলে আসবে। |
|
ইডেনে ধোনি |
ছেলে না হয় এল। কিন্তু রাতটা তো চালাতে হবে। শনিবার সন্ধের মধ্যেই টানার ব্যাপারটা ম্যানেজ করে রাখতে হবে। শুধু কফিতে তো আর রাত জাগা যাবে না, একটু ঢুকুঢুকুও করতে হবে। কম করে তিনটে পাঁইট স্টকে নিয়ে নেওয়া মাস্ট।
তবে ম্যাচ শেষে কিন্তু সোজা বিছানায়। পরের দিন সকালে তো উঠতে হবে। মাংস তো আর বাড়ি বয়ে আসবে না। রোববার ইডেনে ম্যাচ, দুপুরে মাংস ভাত খেয়ে মিনিট তিরিশ না গড়ালে বাঙালি বলে পরিচয় দেওয়া যাবে?
সৌরভকে বাদ দেওয়ার পর অনেক আওয়াজ দিয়েছি। ‘নো সৌরভ, নো কেকেআর’। আরে বাঙালি বলে কি মানুষ নই! ইডেনের ঘাস দেখব না, তা তো আর বলিনি। এখন তো জোকসই চালু, আইপিএল হল চেন্নাই সুপার কিংস-এর সঙ্গে ফাইনাল খেলার জন্য বাকি আটটা টিমের লড়াই। আমি কেন বাদ থাকি। কেকেআর নেই বলে একটা দুঃখ থাকবে। তবে পরের বার কেকেআর ফাইনাল খেলবেই। বাঙালির আশা কি ব্যর্থ হতে পারে? দশটা-সাড়ে দশটায় মাংসের দোকানে গিয়েও তো বলে, “রান সে কাটকে দেগা।” যেন পা-টা এখনও ঝোলানো আছে তার জন্য!
শ্রীসন্তরা শ্রীঘরে ঢোকার পর সবাই তাকিয়ে ছিল এ বার কার পালা? দেখা গেল ‘বিন্দুতে বিন্দুতে সাগর’ হয়েছে। আমি মোটেও অবাক হইনি। আগে শুনতাম শারজার মরুভূমিতে অনেক গোপন কথা লুকোনো আছে। এখন আইপিএল-এ। ভাল হয়েছে, ‘সুপুত্র’ বিন্দুর এই কীর্তির দিনে দারা সিংহ আর বেঁচে নেই। থাকলে হাতের এক চাপে বিন্দুর মাথাটাই হয়তো গুঁড়িয়ে দিতেন। |
|
ওয়েম্বলিতে রিবেরি |
সুতরাং ম্যাচের শেষে সমস্যা একটাই। সোমবার আবার অফিস যেতে হবে। সোমবার হাফ ডে তো হতে পারত। তবে বাঙালি ছাড়বে না। সোমবার ঠিক ফোন করে বলবে, “কাল থেকে মায়ের খুব হুপিং কাশি। কিছুতেই সারছে না। আজ বস আসতে একটু দেরি হবে।” অবশ্য ইডেনে বসের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে চাপটা কম। রবিবার রাতেই বসকে জাপটে ধরা বলা যায়, “কাল তো আর তাড়াতাড়ি আসছেন না!” |
|
|
|
|
|