ব্লাড ব্যাঙ্কের ভূমিকায় প্রশ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রক্তদান শিবিরের আয়োজনের জন্য আগাম চিঠি দিয়ে জানানো হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ দিন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ শিবিরে সহায়তা করতে এলেও শয্যার কোনও ব্যবস্থা করেননি বলে অভিযোগ। তাতে শিবির শুরু করতে প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক দেরি হয়। তাতে রক্ত দান করতে এসে অনেকেই ফিরে গিয়েছেন বলে কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছে। এ দিন শিবিরের আয়োজক কংগ্রেস নেতৃত্ব। হিলকার্ট রোডে সেবক মোড়ের কাছেই শিবির হয়। শিলিগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক জয়িতা দে বলেন, “৩ দিন আগে চিঠি দেওয়া হয়। শয্যার প্রয়োজন থাকলে চিঠিতে উল্লেখ করা দরকার ছিল। আয়োজকরা তা জানাননি। তাই আশ্রমপাড়ায় কংগ্রেসের আরেকটি রক্তদান শিবিরে ৩টি শয্যা পাঠানো হয়।” কংগ্রস কাউন্সিলর তথা আয়োজকদের অন্যতম সুজয় ঘটক জানান, হাসপাতাল শয্যার ব্যবস্থা করলে শিবির সময়ে শুরু করা যেত।
|
বিয়েবাড়ির খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন শ’তিনেক লোক। তাঁদের মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কাল রাতে মাধেপুরার ধুরগাঁও গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়েই প্রশাসন সেখানে চিকিৎসক-দল পাঠিয়েছে। বিয়ের মণ্ডপেই অসুস্থ লোকেদের চিকিৎসা চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ যাদবের ছেলের বৌ-ভাতে আত্মীয়, বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করা হয়। খাবার খাওয়ার পরই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমি করতে থাকেন তাঁরা। জেলা সদরে খবর পাঠানো হয়। চিকিৎসক দলের সদস্য পরশুরাম প্রসাদ বলেন, “সম্ভবত খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ায় সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজন এখনও পুরোপুরি ঠিক না-হলেও, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
|
চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত জগতের দুঃস্থ শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, “সিনেমা (টলিউড), টিভি ও গানের জগতের সঙ্গে যুক্ত দুঃস্থ শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের জন্য এই প্রকল্পে বিমার পরিমাণ বছরে এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।” এই উদ্যোগকে স্বাগত এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ। লোকশিল্পীদের জন্য পেনশন চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এখন ১৫৬ জন লোকশিল্পীকে বছরে ৭০০০ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হয়। রাজ্যে লোকসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত শিল্পীর সংখ্যা প্রায় ৩৫০০। তাঁদের মাসে ৭৫০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে চলতি মাস থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লোকশিল্পীদের দিয়েই সরকারি কাজকর্মের প্রচার চালানো হবে। তাঁরা বাউল গান, ছৌ-নৃত্য, ভাটিয়ালি, ধামসা-মাদলের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে সরকারের কাজের প্রচার চালাবেন।” তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের খবর, কয়েকটি জেলায় এই কাজ শুরু হয়েছে। প্রচারে যুক্ত লোকশিল্পীদের বছরে অন্তত ছ’মাস পাঁচ-ছ’হাজার টাকা করে উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য। |