কর্মসংস্থান বাড়াতে লক্ষ্য হার্ডওয়্যার |
শুধু সফ্টওয়্যার নয়, অনেক বেশি কর্মসংস্থানের জন্য হার্ডওয়্যার নিয়েও পরিকল্পনা করতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কাছে আবেদন জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্যের উন্নয়নে পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজে সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করারও আবেদন জানান। মঙ্গলবার পাঁচ নম্বর সেক্টরে এক অনুষ্ঠানে শিল্পতালুকের পরিকাঠামোগত সমস্যা প্রসঙ্গে পার্থবাবু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে বলেন, “আপনারা স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিকল্পনা করুন, রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে। রাজ্যে ২৬টি আইটি পার্ক হবে, যার মধ্যে রাজারহাটে হবে একটি। গত আর্থিক বছরে তথ্যপ্রযুক্তি তালুক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রযুক্তি রফতানি করা হয়েছে।” কিন্তু তাঁর অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি শুধু সফ্টওয়্যার নিয়েই কাজ করছে। হার্ডওয়্যারে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অথচ হার্ডওয়্যার নিয়ে বিনিয়োগ হলে অনেক বেশি কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি মন্ত্রীর। এর পাশাপাশি ওয়েবেলকে ফের চাঙ্গা করা হচ্ছে বলে পার্থবাবু দাবি করেছেন। শিল্পমন্ত্রীর কথার সুর টেনে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, নবদিগন্তের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের জন্য বার বার আবেদন করেও কোনও সংস্থা এগিয়ে আসেনি। আইটি সংস্থাগুলি এই ধরনের কাজে এগিয়ে এলে আখেরে তাঁদেরই লাভ বলে দাবি পুরমন্ত্রীর।
|
আগে বসানো হয়েছিল কর। এ বার রাজ্যে অনলাইন লোটো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনলাইন লোটো বন্ধ করে দিয়েছি। এখন সরকারি ভাবে তা নিষিদ্ধ করে দিচ্ছি।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি অনলাইন লটারির কথা বলতে চাইছেন? জবাবে তিনি বলেন, “আমি অনলাইন লোটোর কথা বলছি।” তিনি মন্তব্য করেন, “আমরা গুটখা নিষিদ্ধ করেছি। এখন লোটো করলাম।” পরে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, রাজ্যে লোটো খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবু ভবিষ্যতে কেউ যাতে আবার তা শুরু করতে না-পারে, তার জন্য লোটো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি জানান, লোটোর প্রতিটি খেলার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে কর বসানো হয়েছে বছরখানেক আগে। কিন্তু কোনও খেলা না-হওয়ায় তার থেকে কোনও রাজস্ব আসেনি। প্রশাসনের একটি অংশের ধারণা, মুখ্যমন্ত্রী মুখে লোটোর কথা বললেও সরকার আসলে অনলাইন লটারি নিষিদ্ধ করতে চায়। যদিও কেন্দ্রীয় আইন ও ধারায় অনলাইন লটারি স্বীকৃত। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, লটারি আইনে লোটোর কথা বলা নেই। লোটো আসলে জুয়া।
|
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে রাজ্য পুলিশের নতুন আইজি (আইনশৃঙ্খলা)-র পদে নিয়োগ করা হল আইজি (উত্তরবঙ্গ) অনুজ শর্মাকে। এত দিন পদটি শূন্য ছিল। আপাতত হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট ও হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের এলাকা নতুন আইজি (আইনশৃঙ্খলা)-র প্রশাসনিক এক্তিয়ারে পড়বে না। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য সেখানে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকায় এই সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি শশিকান্ত পূজারী হলেন নতুন আইজি (উত্তরবঙ্গ)। ডিআইজি (সিআইডি) বিনীত গোয়েল পদোন্নতির সূত্রে আইজি (সিআইডি) হলেন।
|
মুরগি ১৫০ টাকা, দাম বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী |
খোলাবাজারে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ। মঙ্গলবার মহাকরণে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দেন, প্রতি কিলোগ্রাম মুরগির (পালক ছাড়ানো) দাম যাতে কোনও অবস্থাতেই ১৪০ থেকে ১৫০ টাকার বেশি না-হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। পরে মমতা বলেন, “প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর থেকে মুরগি বিক্রি করতে বলেছি। কেউ কেউ বেশি দামে মুরগি বিক্রি করছেন, এটা ঠিক নয়। এনফোর্সমেন্টকে দেখতে বলেছি।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, দাম বেশি বেড়েছে দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি ও কলকাতায়। আদার দামও বেড়েছে। এখানে আদা কম উৎপাদন হয়। শিলং থেকে আনা হচ্ছে। এখানে চাষ বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে। রাজ্যের ৩৪১টি ব্লকে কৃষি বাজার তৈরি করা হবে। সেগুলো চাষিদের দিয়েই চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, হাসপাতাল দেখভালের জন্য যেমন রোগী কল্যাণ সমিতি রয়েছে, সেই ধাঁচে কৃষি বাজার পরিচালনায় কৃষক কল্যাণ সমিতি গড়া হবে। সরকার শুধু পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে। |