একেই বোধহয় বলে পাকা ধানে মই দেওয়া। বোরো ধান মাঠ থেকে ঘরে তোলার সময় টানা এক সপ্তাহ ধরে কালবৈশাখীর দাপটে নাকাল চাষিরা।
দিন কয়েক ধরেই আকাশের মুখ ভার। সন্ধ্যার দিকে ঝড়-বৃষ্টি লেগেই আছে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এই অবস্থায় জেলার শস্য গোলা কান্দির চাষিদের খেত থেকে ধান খামারে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
চাষিদের দাবি, প্রতিকুল আবহাওয়া দরুন ধান ঘরে তুলতে খরচ হচ্ছে ঢের বেশি। ভ্যাপসা গরমে ধান কাটতে লাগছে অতিরিক্ত জনমজুর। এক বিঘা জমির ধান কাটতে ছ’টি দিনমজুর লাগছে। সাধারণত যেখানে পাঁচ জনই যথেষ্ট। গরমের মজুরিও চড়েছে অনেকটাই বেশি। ১৫০-১৭০ টাকা দিন মজুরি গুনতে হচ্ছে চাষিদের। বিঘাপ্রতি ধান খামারে তুলতে প্রায় ছ’শো টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে কৃষকদের। এ বছর জেলায় প্রায় এক লক্ষ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে।
এই বছর শীতকালে ধান রোঁয়া থেকেই আবহাওয়া চাষিদের সঙ্গ দেয়নি। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা সঙ্গে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ। সাথে কনকনে হাওয়া চলায় বীজতলা ভালো হয়নি। ফলে চাষ কম হয়েেছে। পরে ধান চাষ হওয়ার সময় লাগাতার লোডশেডিংয়ের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। ফলনের সময় দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষতি হয় চাষের। এ বার ধান কাটার মুখেও আবহাওয়া ঠিক না থাকায় বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা। এলাকার চাষি রাজেশ গুঁই, জালাল শেখরা বলেন, “বোরো চাষ করতে গিয়ে আবহাওয়া বিমুখ হওয়ায় আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।”
জেলার কৃষি অধিকর্তা শ্যামল মজুমদার বলেন, “এ বার বোরো চাষের শুরু থেকেই চাষিদের প্রতি আবহাওয়া সঙ্গ দেয়নি। চাষিরা যে ক্ষতির মুখে পড়েছে তা রাজ্য কৃষি দফতরে জানানো হয়েছে।” |