ব্যাঙ্কিং পরিষেবার খুঁটিনাটি ছাত্রছাত্রীর বোঝাতে শালবনির গোদাপিয়াশাল হাইস্কুলে সেমিনার করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মঙ্গলবার এই সেমিনারে নবম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় তিনশো ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়। উপস্থিত ছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কবিতা সরকার এবং মিতা সোম, জেলার লিড ডিস্ট্রিক্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজার (এলডিএম) সমরেন্দ্র সন্নিগ্রাহী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রণব সিংহ প্রমুখ। |
ব্যাঙ্ক নিয়ে স্কুলে সেমিনার।—নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুরে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। হঠাত্ কেন এই আয়োজন? জেলার এলডিএম বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার নানা দিক তুলে ধরতেই এই সেমিনার।” প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ‘ফিনানশিয়াল ইনক্লুশেন প্রোগ্রাম’। পশ্চিম মেদিনীপুরেও এই কাজ চলছে। যে সব গ্রামে ১,৬০০ থেকে ২ হাজার মানুষের বসবাস, সেই গ্রামগুলোকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য এই জেলার ৮৩৬টি গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চের মধ্যে এখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোন ব্যাঙ্ক কোন এলাকায় কাজ করবে, তা চূড়ান্ত হয়েছে। পুরো কর্মসূচির রূপায়ণের দায়িত্ব পেয়েছে যে সংস্থা তারা আবার গ্রামে গ্রামে এজেন্ট নিয়োগ করছে। এঁদের ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট’ (সিএসপি) বলা হয়। এই এজেন্টদের কাছে ল্যাপটপ থাকছে। এজেন্টরা গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করছেন। গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে বায়োমেট্রিক এটিএম কার্ড। তা নিয়ে গ্রাহকেরা এজেন্টদের কাছ থেকে টাকা তুলতে বা জমা দিতে পারবেন।
সেমিনারে এই ‘ফিনানশিয়াল ইনক্লুশেন প্রোগ্রাম’ কর্মসূচি সম্পর্কেও ছাত্রছাত্রীদের বোঝানো হয় কেন এই প্রকল্প, এর ফলে মানুষ কী ভাবে উপকৃত হবেন, তা জানানো হয়। ব্যাঙ্কে ঠিক কী কী কাজ হয়, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মানুষ কী ভাবে উপকৃত হন, তা-ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরা হয়।
|
সিমেন্ট উৎপাদনে নজির বিড়লা কর্পের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গত ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে সিমেন্ট উৎপাদনে রেকর্ড গড়ল বিড়লা কর্পোরেশন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উৎপাদনের পরিমাণ ছুঁয়েছে ৬৪.৪৪ লক্ষ টন। এ দিকে, ওই বছরেই এমপি বিড়লা গোষ্ঠীর ওই প্রধান সংস্থার নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। আগের বছরের থেকে ৩১ কোটি বেশি। মোট আয়ও আগের বারের থেকে ৩৯৮ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ২৯৫৫ কোটি টাকা। ওই বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৭০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দেবে বলে জানিয়েছে বিড়লা কর্পোরেশন। |