মহিলা সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০০২-এ তাঁকে ছাড়তে হয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস। এ বারও অধস্তন মহিলা কর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক গোপন করার অভিযোগে সেই ফণীশ মূর্তিকেই চিফ এগ্জিকিউটিভ পদ থেকে বরখাস্ত করল আই-গেট। যদিও মূর্তির দাবি, বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি এই সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যানকে। ফণীশের জায়গায় অস্থায়ী সিইও হিসেবে আনা হয়েছে গরহার্ড ওয়াটজিঙ্গার-কে।
এ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ায় কৃতিত্বের ভাগীদার যে-সব তাবড় ব্যক্তিত্ব, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ফণীশ মূর্তি। আমেরিকা ভিত্তিক আউটসোর্সিং সংস্থা আই-গেটে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিরই অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলা কর্মী। বাইরে থেকে আনা আইন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সেই অভিযোগেরই তদন্তে এই গোপন সম্পর্কের হদিস মিলেছে। মূর্তি অবশ্য যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “গত কয়েক মাস ধরে আমি যে এই সম্পর্কে জড়িয়েছি, সেটা সংস্থাকে আগেই জানিয়েছি। মনে হয় না, সংস্থার কোনও বিধি ভেঙেছি আমি।” তাঁর আরও দাবি, অর্থের লোভেই সত্যকে বিকৃত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, গত ১০ বছরে আই-গেটের ব্যবসার দ্রুত উন্নতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে মূর্তির। তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত নতুন মডেলের বিলিং ব্যবস্থা (ঘণ্টার পরিবর্তে কাজের ফলাফলের ভিত্তিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ফি নেওয়া) কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই টিসিএস কিংবা ইনফোসিসের মতো রাঘববোয়ালদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ছক কষছে সংস্থাটি। তবে ফণীশকে বরখাস্ত করা নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন ন্যাসকমের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকুমার নটরাজন বলেন, “একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের মান ধরে রাখতে এই দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসনীয়।” প্রসঙ্গত, ইনফোসিসে ওঠা যৌন হয়রানির মামলা আদালতের বাইরে মিটিয়ে নেন তিনি। তার পর নিজেই একটি সংস্থা গড়েন, যা পরে কিনে নেয় আই-গেট। |