সকালে মনে করে মোবাইল ফোনটা চার্জে বসিয়েছিলেন। অন্তত ঘণ্টাখানেক হবে। কিন্তু দিনের শেষে ফোনের ব্যাটারি যে কে সেই তলানিতে। হতচ্ছাড়া ফোনটাকে বাগে আনতে পারছেন না কিছুতেই। আপনার এই হতাশাকে বদলে দিতে পারে ছোট্ট একটা ‘সুপারক্যাপাসিটর’। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা নয়, সুপারক্যাপাসিটর থাকলে
|
এষা খারে |
ফোন চার্জ দিতে সময় লাগবে মাত্র কুড়ি সেকেন্ড।
এমনই এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার সানহোসের বাসিন্দা এষা খারে। এখনও হাইস্কুলের গন্ডি পেরোননি। বয়স মোটে আঠারো। তার সুপারক্যাপাসিটরের দৌলতে ‘ইন্টেল ইন্টারন্যাশানাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর পুরস্কারও তাঁর হাতে। এই সুপারক্যাপাসিটরের অসীম সম্ভবনার কথা মাথায় রেখে এষার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে গুগলও। “আমার নিজের ফোনের ব্যাটারি তাড়াতাড়ি বিগড়ে যেত। তাই এমন একটা কিছু তৈরির কথা মাথায় আসে,” বলেন এষা। কিন্তু এই সুপারক্যাপাসিটর কী? এষার কথায়, যে সমস্ত ইলেকট্রনিক জিনিসের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া যায়, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা হয়ে যাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। চার্জ বেশি ক্ষণ ধরেও রাখতে পারবে নয়া প্রযুক্তি। সাধারণ ব্যাটারিতে যত বার চার্জ দেওয়া যায়, ছোট্ট সুপারক্যাপাসিটরে তার চেয়ে বেশি বার।
হাইস্কুলে তাঁর স্পেশ্যালাইজেশন ন্যানোকেমিস্ট্রিতে। ছোট একটা চিপের মধ্যেই কী ভাবে অসাধ্য সাধন করা যায়, ন্যানোকেমিস্ট্রি পড়তে গিয়ে এই ইচ্ছেটা তৈরি হয়েছিল ওই অষ্টাদশীর।
এখনও শুধু এলইডিতেই সুপারক্যাপাসিটর ব্যবহার করেছেন এষা। শিগগিরি ফোন থেকে গাড়ি, সব কিছুতেই এই নায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে বলে আশা তাঁর। এষার সাফল্যে সমান উৎসাহী একাধিক বহুজাতিক সংস্থা। তাদের ফোনের ধাক্কা সামলাতে গিয়ে নিজের ফোনের চার্জ যাতে না কমে, তা নিয়েই ব্যস্ত ওই তরুণী। |