প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে মামলা শুরু করলেও অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে কেন, তা নিয়ে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অন্দরেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এসজেডিএ-এর অফিসার-কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার অভিযোগ নিতে পুলিশের টালবাহানার ঘটনাই সন্দেহের সূত্রপাত। শুক্রবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী তদন্তে ঢিলেমি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রমানকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন। শনিবার শিলিগুড়ির এডিসিপি আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, “নথিপত্র বাজেয়াপ্তের কাজ চলছে। তদন্ত এগোচ্ছে।”
মামলায় এসজেডিএ-এর প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক জি কিরণকুমার ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের দায়িত্ব নিয়েও সিপিএম-সহ নানা মহলে প্রশ্ন রয়েছে। এমনকী সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই আইএএস অফিসার, যাতে মামলায় জড়িয়ে না পড়েন সে জন্যই ঢিমেতালে তদন্ত চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি রুদ্রনাথবাবুর নাম জড়িয়ে গেলে দলের ভাবমূর্তি বিপন্ন হতে পারে ভেবে তাঁকেও ছাড় দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। পুলিশের তরফে একাধিক কর্তা গাফিলতির নালিশ ভিত্তিহীন বলেছেন।
এ দিন এসজেডিএ-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “শুধু অভিযোগ দায়ের করে দায়িত্ব এড়াতে পারে না তৃণমূল। এসজেডিএ-এর পরিচালন বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কিংবা চেয়ারম্যান ও মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকের অনুমোদন ছাড়া কোনও টাকা কাউকে দেওয়া যায় না। তাই শুধু ইঞ্জিনয়ই নয়, পরিচালন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। জি কিরণকুমার ও রুদ্রনাথবাবুও দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।” রুদ্রনাথবাবু অবশ্য অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। জি কিরণকুমার ‘বিষয়টি বিচারাধীন’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। |