মেয়াদ ফুরনোর আগেই রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। হুমায়ুন দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন। সেই সঙ্গে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের প্রার্থী হতে বলেছেন। হুমায়ুন বলেন, “গত ২০ নভেম্বর কংগ্রেসের বিধায়ক পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিই। পরের দিনই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিই। রেজিনগর উপনির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বারণ করেন। ছ’মাস মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০ মে। তার আগেই পদত্যাগ করলাম।” হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, তিনি জেলা পরিষদে প্রার্থী হতে চান না। কারণ, একদা তাঁর শক্ত ঘাটি বলে পরিচিত বেলডাঙা ২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনটি মহিলা প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। অন্য আসনে দাঁড়ানোর ঝুঁকি তিনি নিতে চান না। রেজিনগর উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর হুমায়ুন কার্যত কিছুটা হতাশ। রেজিনগরের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন দল ছেড়ে তৃণমূলের মন্ত্রী হয়ে উপনির্বাচনে জিততে পারেননি নিজের কেন্দ্রেই। তাই এখনই ভোটে দাড়ানোর ঝুঁকি তিনি নিতে চাইছেন না। এ দিনই হুমায়ন মুর্শিদাবাদ রওনা হয়ে যান।
|
অস্থায়ী কর্মীদের ভাতা বাড়ল |
নতুন সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে রাজ্যের অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভাতা বাড়াল সরকার। মে মাস থেকেই তা কার্যকর হচ্ছে। শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে কর্মীরা (গ্রুপ-ডি) ১০ বছরের কম চাকরি করছেন তাঁদের ভাতা ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করা হচ্ছে। আর যাঁরা ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করছেন, তাঁদের মাসিক ভাতা আগে ৬ হাজার টাকা ছিল, তাঁরা এখন থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা করে পাবেন। সরকারের এই ঘোষণার তালিকায় গ্রুপ-সি-র অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও আছেন। সে ক্ষেত্রে যাঁরা ১০ বছরের কম চাকরি করছেন তাঁদের আগে ভাতা ছিল ৬ হাজার ৬০০ টাকা। নতুন হারে তাঁদের ভাতা বেড়ে হচ্ছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। আর যে সমস্ত কর্মীরা ১০ বছরের বেশি সময় কাজ করছেন, তাঁদের মাসিক ভাতা ৮ হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ১১ হাজার টাকা।
|
পশ্চিমবঙ্গ বোরো চাষে দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান, চলতি বছরে এ রাজ্যে গম, ভুট্টা, ডাল এবং তৈলবীজেরও ভাল চাষ হয়েছে। শনিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলা আবার সবুজ বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি জানান, চলতি বছরে বোরো মরসুমে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৩১ একর জমিতে সেচ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য শস্য চাষ হয়েছে ৫৪ লক্ষ একর জমিতে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সুসংহত সেচ প্রকল্প, বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং কম জল ব্যবহার করে এই সাফল্য এসেছে। কৃষিক্ষেত্রে এই সাফল্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কৃষক ও ক্ষেত মজুরদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
|
ফেব্রুয়ারি মাসের দু’ দিনের শ্রমিক ধর্মঘট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের মন্তব্যকে স্বাগত জানালেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী। শুক্রবার দিল্লিতে ভারতীয় শ্রম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন, ওই ধর্মঘট এমন অনেক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা সামগ্রিক জনগণের কল্যাণের জন্য দাবি। |