দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া সোনারপুর
অবাধ দখলদারি
পা ফেলাই দায়
ফুটপাথ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে ইট, বালি, স্টোনচিপ্‌স। এর মধ্যেই রয়েছে দোকান এবং একাধিক বাজার। শুধু নেই পথচারীদের হাঁটার জায়গা। দীর্ঘ দিন ধরে এমনই হাল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড এবং ই এম বাইপাসের সংযোগকারী রাস্তার দু’দিকের ফুটপাথের।
যাদবপুর থানা মোড় থেকে বাইপাসের কালিকাপুর মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত এই রাস্তার নাম ত্রিগুণা সেন সরণি। ওই রাস্তা সংলগ্ন সাঁপুইপাড়া, ব্যাঙ্কপ্লট, প্রতাপগড়, হালতু, গড়ফা, পূর্বাচল, শহিদ নগর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু প্রধান রাস্তার ফুটপাথেই নয়, এলাকার অলিগলিতেও দিনের পর দিন বিপজ্জনক ভাবে ফেলে রাখা হয় ইমারতি দ্রব্য। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন মহলে বার বার জানিয়েও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
গড়িয়া এবং সোনারপুর এলাকা থেকে দক্ষিণ শহরতলিতে দ্রুত যাতায়াত করার জন্যও কলকাতা পুরসভার ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বরোর সীমানা এলাকাবর্তী এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অভিযোগ, ব্যস্ত এই রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণও ঠিক ভাবে হয় না। ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনা এই রাস্তায় হামেশাই ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমরেশ রায়ের কথায়: “স্থানীয় নেতাদের মদতেই এলাকার ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহকারীরা দিনের পর দিন ফুটপাথে ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখে।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, অলিগলিতে এমন ভাবে ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখা হয় যে রাস্তা যথেষ্ট চওড়া হওয়া সত্ত্বেও পাশাপাশি দু’টি গাড়ি যেতে পারে না।
দীর্ঘ দিন এই রাস্তা দেখভালের দায়িত্বে ছিল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই রাস্তার দায়িত্ব কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে বাসিন্দাদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ সংলগ্ন তিনটি বরোর চেয়ারম্যানেরা। দশ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ওই রাস্তার সামান্য অংশ আমার বরোর সীমানায় পড়ে। আমি এই ধরনের কাজে কখনও মদত দিই না। খবর নিয়ে আমার অংশটুকুর রাস্তা সাফ করে দেব।” ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের তারকেশ্বর চক্রবর্তীর কথায়: “খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।” ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূলের দীপু দাসঠাকুর বলেন, “সবিস্তার খোঁজ নিয়ে ফুটপাথ পরিষ্কারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ সুশান্তকুমার ঘোষ (সড়ক) বলেন, “সংশ্লিষ্ট বরো কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.