|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা |
ফুটবল উত্সব |
খুদে পায়ের দাপট |
চন্দন রুদ্র |
বল নিয়ে মাঠে দাপাদাপি করছে এক ঝাঁক খুদে। দেখতে ভিড় জমে উঠেছে। পর্ণশ্রী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত এক মাসের এই ফুটবল উত্সবে দক্ষিণ কলকাতার অ্যাভেনিউ সম্মিলনীকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল সাহাপুর মিতালী সঙঘ। ফুটবল নিয়ে ছবিও আঁকল ছোটরা। শেষ দিনে দিন-রাতের ফুটবলে অংশ নিলেন বড়রাও। আট দলের এই নকআউট ফুটবলে সল্টলেক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে সাহাপুর মিতালী সঙঘ।
|
|
অন্য সেমিফাইনালে রবীন্দ্র সরোবরের অ্যাভিনিউ সম্মিলনী হারায় ঠাকুরপুকুর কোচিং ক্যাম্পকে। ফাইনালের শুরুতে বিপক্ষের বক্সে হেড করতে উঠে অ্যাভেনিউ সম্মিলনীর ফুটবলার শেখ সাকিলকে মাথায় আঘাত লাগে। তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। অল্প কিছু পরেই অ্যাভিনিউ সম্মিলনীকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয়
রোহন দে।
গোল খেয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় মিতালীর ফুটবলাররা। কিন্তু গোল মেলে একেবারে শেষে। গোল করে সমতা ফেরায় মিতালীর আশিস সমাদ্দার। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে জয়ী হয়
মিতালী সঙঘ।
চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুশি জয়রামপুরের ছেলে আশিস। বাবা রিকশা চালান। এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
লিওনেল মেসির এই ভক্তটি বলল, “বড় ফুটবলার হতে চাই।” |
|
ফুটবলের আসরে মেয়র |
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয় চ্যাম্পিয়ন দলের গোলরক্ষক বাবুসোনা দেবনাথ। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মিতালী সঙ্ঘের দুই কোচ মোজেস জোশেফ ও সঞ্জীব চক্রবর্তী। তাঁরা জানালেন, গরিব ঘরের ছেলেদের নিয়েই চলছে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অ্যাভেনিউ সম্মিলনীর প্রশিক্ষক তপনজ্যোতি মিত্র বললেন, “একেবারেই অভাবী ঘরের ছেলে জিতেন্দ্র সিংহ এই দলে খেলে। অনূর্ধ্ব ১২ ভারতীয় দলের হয়ে ইরানে খেলতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে সে।”
প্রতিযোগিতা কমিটির সম্পাদক দিলীপ রায় বললেন, “ফুটবলের প্রচারে জন্য এই প্রয়াস।” আয়োজক ক্লাবের সভাপতি দীপঙ্কর রায় জানালেন, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় মাঠটি সংস্কারে সহযোগিতা করেন। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধায়ক তহবিলের অর্থে ক্লাবে তৈরি হয়েছে মাল্টি জিম।
ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, স্থানীয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র, প্রাক্তন ফুটবলার দিলীপ সরকার প্রমুখ। |
ছবি: অরুণ লোধ
|
|
|
|
|
|