রাস্তার মাঝখানে আচমকা নীল-সাদা পাঁচিল। কিছু দূর ছেড়ে নীল রঙা লোহার গার্ডরেল। ব্যস্ত সময়ে পথচারী আর গাড়ির ভিড়ে নাভিশ্বাস ওঠা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের সরু রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য বসানো হয়েছিল এই ডিভাইডার আর গার্ডরেলগুলি। কিন্তু যান নিয়ন্ত্রণে এগুলো যেমন কার্যত অসুবিধার কারণ হয়েছে তেমনই দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত।
প্রশাসনের বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর মতো দিনের বেলা ট্রাফিক পুলিশের নজরদারিতে ডিভাইডার আর গার্ডরেলগুলি যান-শৃঙ্খলা বাড়ালেও রাতে এগুলিই দুর্ঘটনা ঘটায়। গত তিন মাসে শুধু ব্যারাকপুর শহরে বসানো গার্ডরেলে ধাক্কা মেরে জখম হয়েছেন তিরিশ জনেরও বেশি মোটরবাইক আরোহী। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে নতুন করে তৈরি করা একটি ডিভাইডার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাইশ চাকার ট্রেলার। বাকিগুলিও মাঝেমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
|
কিন্তু মাস তিনেক আগে ফের বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে ডিভাইডার ও গার্ডরেল বসানো হয়। এর মধ্যে ব্যারাকপুর-বারাসত রোড ও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগস্থল বা মসজিদ মোড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জায়গায় লেন ভাগ করার ফলে মাঝেমধ্যে প্রবল যানজট হয়। পুলিশের দাবি চৌমাথাগুলোতে বেপরোয়া গাড়ি রুখতেই এই ব্যবস্থা। যে জায়গাগুলিতে এই ভাবে লেন ভাগ করা হয়েছে তার আশপাশে একাধিক স্কুল ও পানশালা থাকায় দিনের বেলা যেমন স্কুলপড়ুয়াদের রাস্তা পেরোতে হিমশিম খেতে হয়, তেমনই রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এর নিয়ন্ত্রণ কী ভাবে হবে তার জবাব অবশ্য দিতে পারেননি পুলিশকর্তারা। ব্যারাকপুর কমিশনারেটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিক পুলিশ নেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে বহু জায়গাতে অরক্ষিত চৌমাথা নিয়ন্ত্রণ করে শুধুমাত্র এই গার্ডরেলগুলি। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘গার্ডরেল ও ডিভাইডারগুলিতে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য কী করা যায় সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’ |