পূর্ব কলকাতা
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
স্তব্ধ উন্নয়ন
র্থ বরাদ্দ হয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তার পরে প্রায় আড়াই বছর কোনও কাজ হয়নি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রাজারহাট ব্লকের পাথরঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়ন।
পাথরঘাটায় পঞ্চায়েত কার্যালয়ের কাছেই পাথরঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পাথরঘাটা, ছাপনা, বনমালীপুর, আকন্দকেশরী, লস্করহাটি, গাড়াগড়ি প্রভৃতি অঞ্চলের ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দাদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা।
তাঁদের অভিযোগ, দিনের অধিকাংশ সময়েই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকে। সকালে দু’-তিন ঘণ্টার জন্য বহির্বিভাগ খোলা হলেও অধিকাংশ দিনই চিকিৎসক থাকেন না। চিকিৎসক থাকলেও ফার্মাসিস্টই অধিকাংশ সময়ে চিকিৎসা করেন বলেও তাঁদের অভিযোগ।
অভিযোগ, রাতে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে অন্তর্বিভাগ নেই। লেবার রুম থাকলেও তাতে প্রসবের পূর্ণ পরিকাঠামো নেই। এখন সংস্কারের জন্য লেবার রুমটি বন্ধ রয়েছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং ওষুধ থাকে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক জন করে নার্স, ফার্মাসিস্ট ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের থাকার কোয়ার্টার্সগুলিরও দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থা। অব্যবস্থার কথা জনপ্রতিনিধিদের বার বার জানিয়েও লাভ হয়নি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উন্নতির জন্য ২০১০-এ ৬৬ লক্ষ টাকার বেশি অনুমোদন করা হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার কথাও ঘোষণা করা হয়। প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। হাসপাতালের নতুন ভবনের জন্য মাটি খোঁড়ার কাজও শুরু হয়। তার পরে আর কাজ এগোয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলাপরিষদ সদস্য সিপিএমের বাপি বিশ্বাস বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে কাজে বাধা দেন। কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে মালপত্রের দাম বেড়েছে। পুরো ঘটনা জেলা পরিষদে জানিয়েছি।”
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল, “খবরটা জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি কেন কাজ বন্ধ রয়েছে।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, “ফার্মাসিস্ট-এর চিকিৎসা করার অধিকার নেই। ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”

ছবি: সুদীপ ঘোষ্




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.