জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্ত এক যুবককে গুলি করে খুন করে পালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে রায়গঞ্জ থানার সুভাষগঞ্জ সেতু সংলগ্ন রাস্তায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সঞ্জীব সাহা (৩৩)। তার বাড়ি রায়গঞ্জের বন্দর বারিন্দ্রপাড়া এলাকায়। তিনি জমি কেনাবেচা ও সুদের ব্যবসা করতেন। এ দিন সঞ্জীব বাইকে সুভাষগঞ্জ এলাকা থেকে বন্দরের দিকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে তাঁকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালায়। নিহতের মাথায়, তলপেটে ও কোমরে গুলি লাগে।
পুলিশ সঞ্জীবকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের বাইক ও দুটি কার্তুজের খোল পুলিশ উদ্ধার করে। তবে তার মোবাইলের হদিস মেলেনি। |
জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “প্রায় ছয় বছর আগে বন্দর এলাকায় একটি জোড়া খুনের মামলায় সঞ্জীব ও তার দুই বন্ধু অভিযুক্ত ছিলেন। নিহতের ওই দুই বন্ধু সম্প্রতি বিদ্রোহীমোড়ের আর একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে জেলে আছেন। পুরানো কোনও শত্রুতা বা ব্যবসার কোনও ঘটনার জেরে এই খুন কী না তা দেখা হচ্ছে।” পুলিশ নিহতের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করা ছাড়াও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর কালীপুজোর রাতে বন্দর এলাকায় জুয়া খেলা নিয়ে গোলমালের জেরে স্থানীয় দুই যুবককে থেঁতলে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় সঞ্জীব-সহ তার দুই বন্ধুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কয়েকমাস জেল হেফাজতে থাকার পর তারা জামিনে ছাড়া পান। নিহতের স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী এদিন হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “আমার স্বামী কোনও সমাজবিরোধীমূলক কাজে জড়িত ছিলেন না। খুনীদের কঠোর শাস্তি চাই।” রায়গঞ্জ থানার আইসি দীনেশ প্রামাণিক জানান, নিহতের পরিবারের তরফে রাত অবধি কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি। |