আইপিএলের স্পট-ফিক্সিং কাণ্ডের সঙ্গে যে বাংলার যোগাযোগ থেকে যাবে, কে জানত!
বৃহস্পতিবার ভারতীয় ক্রিকেটে যে তিন নাম সকাল থেকে ঝড় তুলে দিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অজিত চান্ডিলা সাত বছর আগে খেলে গিয়েছেন কলকাতায়। ময়দানের দ্বিতীয় ডিভিশনে তালতলা ক্লাবের হয়ে। লিগ এবং নকআউট পর্বের গোটা ছয়েক ম্যাচ খেলে দশ-এগারোটা উইকেটও ছিল তাঁর।
বৃহস্পতিবারের বিস্ফোরণে রীতিমতো স্তম্ভিত চান্ডিলার এক সময়ের ময়দানি ক্লাব। তাঁর এক সময়ের অধিনায়ক। কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁদের চেনা সেই লাজুক, মুখচোরা ছেলেটা জড়িয়ে পড়েছে গড়াপেটার মতো মারাত্মক অপরাধে!
ময়দানে চান্ডিলার ক্লাব অধিনায়ক সমীর ঘোষ যেমন। এ দিন সন্ধেয় বলছিলেন, “কোনও দিন ওর মধ্যে কোনও দোষ দেখিনি।” সতীর্থদের কথায়, ভিনরাজ্যের অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতো কোনও নেশা ছিল না চান্ডিলার। লেট নাইট পার্টি বা নাইট ক্লাবের আশপাশ দিয়েও যাননি। চুপচাপ থাকতেন। প্র্যাক্টিসে ডুব দেওয়ার কোনও ব্যাপার ছিল না। এ দিনের বিস্ফোরণে কেউ ‘শকড’, কেউ বাক্রুদ্ধ।
এমনকী যে টাকার মোহে চান্ডিলা আইপিএলে আজ থেকে নির্বাসিত, এয়ার ইন্ডিয়ার চাকরিও হারালেন, বছর সাতেক আগেও তাঁর মধ্যে কেউ অর্থলোভ দেখেনি। তালতলা ক্লাবের এক শীর্ষকর্তার কথায়, “ওকে ম্যাচ পিছু চুক্তিতে এনেছিলাম। একটা ম্যাচ খেলে দেড় হাজার টাকা করে পেত।” অর্থের লোভ তো নয়ই, বরং আশ্চর্য মহানুভবতার খোঁজও পেয়েছিলেন কেউ কেউ। সমীর বলছিলেন, “বাংলা থেকে যোগ্য কেউ হলেও তাকে বসিয়ে তখন বাইরের ক্রিকেটার খেলানো হত। ওকেও হয়েছে। অজিত অনেক বার আমাকে বলেছে, এটা ঠিক হচ্ছে না। আমাকে বসিয়ে যোগ্যদের খেলাও। সেই ছেলে এই কাজ করল?” |