এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া আদালতের জেলা অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (স্পেশাল কোর্ট) আশিস দেব শেওড়াফুলির বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, প্রশান্ত সরকার, রাজেশ গুপ্ত, তাপস দে এবং বাবলু সাউকে ওই সাজা শোনান। সরকার পক্ষের আইনজীবী কালীপ্রসাদ সিংহরায় জানান, বিচারক পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা। অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ড। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে শেওড়াফুলির কুমোরপাড়ার এক মহিলা স্বামীর সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বৈদ্যবাটি রেল স্টেশনের পাশে ওই পাঁচ যুবক তাঁদের পথ আগলে দাঁড়ান। স্বামীকে মারধর করে মহিলাকে ওই এলাকারই একটি পরিত্যক্ত কারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ভয় দেখিয়ে ওই যুবকেরা তাঁকে ধর্ষণ করে। অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় অত্যাচারের প্রমাণ মেলে। এত দিন ওই পাঁচ জন জামিনে ছিল। বুধবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
|
জাল টাকা-সমেত শ্রীরামপুরের তারাপুকুর এলাকার একটি মাঠ থেকে বুধবার রাতে পুলিশ সন্দীপ নন্দী নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল। তার বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় খুন, ডাকাতি, তোলাবাজি-সহ অন্তত ৩৫টি মামলা রয়েছে। এর আগেও একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র-সহ পুলিশের হাতে সে ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাতে সে তারাপুকুরের একটি মাঠে মদের আসর বসাত। তদন্তকারী এক অফিসারদের অনুমান, জাল টাকা কাউকে হস্তান্তরের জন্য সন্দীপ মাঠে অপেক্ষা করছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, সন্দীপ এক সময়ে সিপিএমের ছত্রছায়ায় থাকলেও রাজ্যে পালাবদলের পরে সে তৃণমূলে ভিড়ে যায়। কিছু দিন ধরে সে সিপিএমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সিপিএমের পশ্চিম শ্রীরামপুরের এক নেতা থানায় তদ্বির করতে আসেন। যদিও তাকে ছাড়া হয়নি। ওই সিপিএম নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
|
বৃহস্পতিবার বলাগড়ের গোপালপুরে কুন্তী নদীর উপর সেতুর শিলান্যাস করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীববাবু জানান, সেচ দফতর ৬৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটি তৈরি করবে। ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। ওই জায়গায় বাঁশের সাঁকোটি জীর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা সেতুর দাবি জানাচ্ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। |