এক শিশুকন্যার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শিশুটির মাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সন্ধ্যারানি শীল। তাঁর স্বামী তারকচন্দ্রের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গোপালনগর থানার কল্যাণপুর এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বনগাঁর এসডিপিও রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, “মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিজের শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ধৃতের বিবাহবর্হিভূত সর্ম্পকের জেরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তির কারণেই এই খুন। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দম্পতির দুটি শিশুকন্যা রয়েছে। একজনের বয়স ৫ মাস। অপরজনের ২ বছর। সোমবার গভীর রাতে সন্ধ্যারানিদেবী স্বামীকে ডেকে জানান, ছোট মেয়ের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মনে হয় মারা গিয়েছে। তারকবাবু ছোটমেয়ের কাছে গিয়ে দেখেন সে বেঁচে নেই। হঠাৎ এই ঘটনায় স্ত্রীকে সন্দেহ হয় তারকবাবুর। তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। প্রতিবেশীরা সন্ধ্যারানিদেবীকে মহিলাকে মারধর করে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে সন্ধ্যারানিদেবীকে।
তারকবাবুর অভিযোগ, “পরিবারে অশান্তি ছিল। সেই কারণেই ছোট মেয়েকে খুন করেছে স্ত্রী।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশীর দাবি, ধৃতের বাপের বাড়ি বনগাঁর কালিয়ানি ঘোনার মাঠ এলাকায়। ওই এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে সন্ধ্যারানির বিবাহবর্হিভূত সর্ম্পক রয়েছে। তা ছাড়া কয়েকদিন আগে ননদের গয়না ও স্বামীর টাকা চুরির অভিযোগে তাকে নিয়ে গ্রামে সালিশি বসেছিল। সেখানে ঠিক হয়েছিল, আগামী শুক্রবারের মধ্যে সন্ধ্যারানিদেবী সব গয়না ফেরত দিয়ে দেবে। এ সব নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল।
কিন্তু বিবাহবহির্ভূত সর্ম্পকের জন্য গভীর রাতে দুই শিশুকন্যার মধ্যে ছোট মেয়েকেই কেন খুন করলেন ওই মহিলা সেটা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |