জীবনী-জ্বরের ব্যবসা
রাজনৈতিক নেতা থেকে সিনেমাজগতের তারকারা হিন্দি ছবির অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন অনেকেই। এ ছাড়াও রয়েছে চোর, ডাকাত আর গ্যাংস্টার। এমনকী সাংবাদিকও।
কিন্তু পর্ন লেখকের উপর ছবি?
বায়োপিক-আসক্ত বলিউড এখন নতুন নতুন চরিত্রের উপর ভিত্তি করে ছবি বানাচ্ছে। মিলখা সিংহ, মেরি কম, কিশোর কুমার, ভূপেন হজারিকার জীবনভিত্তিক ছবির মাঝে এক নতুন বায়োপিকের গল্প নজর কাড়ছে। ছবির নাম ‘মাস্তরাম’। পরিচালক অখিলেশ জয়সোয়াল। এর আগে অনুরাগ কাশ্যপের ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ ছবির সহ-চিত্রনাট্যকার ছিলেন তিনি। বিষয় এক পর্ন লেখকের জীবন। কী ভাবে সে লেখক হওয়ার স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে ভারতের জনপ্রিয় পর্ন লিখতে শুরু করেন। হিন্দি ছবিটির শ্যুটিং শেষ। পুজো নাগাদ মুক্তি পাবে ছবিটি।
শুধু তাই নয়। কসাবের ফাঁসির পিছনে যে উকিল সব থেকে বেশি সরব হয়েছিলেন, সেই উজ্জ্বল নিকমকে নিয়েও ছবি বানানো হচ্ছে!
এই সত্যিকারের চরিত্রভিত্তিক ছবি বানানোর নেশার পিছনে আসল কারণটা কী? শুধুমাত্র ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ আর ‘পান সিং তোমর’য়ের সাফল্য? নাকি অন্য কিছু?
মনে আছে, সুচিত্রা সেন আর সঞ্জীব কুমারকে নিয়ে গুলজারের তৈরি ‘আঁধি’? কানাঘুষো শোনা যায় যে, ছবিতে সুচিত্রা সেন অভিনীত আরতি দেবীর চরিত্রের অনুপ্রেরণা ছিলেন স্বয়ং ইন্দিরা গাঁধী আর তারকেশ্বরী সিংহ। বিতর্কের ঝড় তুঙ্গে উঠেছিল ১৯৭৫-এর এমার্জেন্সির সময়। এমনকী ছবিটি নিষিদ্ধও হয়ে গিয়েছিল কিছু দিনের জন্য।
শ্যাম বেনেগল ১৯৭৭ সালে পরিচালনা করেছিলেন ‘ভূমিকা’। মুখ্য চরিত্রে স্মিতা পাতিল। স্মিতার চরিত্রটি নাকি ১৯৪০-য়ের মরাঠি স্টেজ আর স্ক্রিন অভিনেত্রী হাসনা ওয়াধকরের ‘ফ্ল্যামবয়েন্ট’ জীবনের ভিত্তিতে তৈরি। ফুলন দেবীর জীবন নিয়ে শেখর কপূর বানিয়েছিলেন ‘ব্যান্ডিট কুইন’, ১৯৯৪ সালে। বিনয় পাঠক, শাবানা আজমিকে নিয়ে ১৯৯৯-য়ে বানিয়েছিলেন ‘গডমাদার’। ছবিটির অনুপ্রেরণা? ভারতের প্রথম মহিলা যিনি একটি মাফিয়া দল চালাতেন পোরবন্দর এলাকায়। নাম শঙ্খবেন জাডেজা। শ্যাম আবার বায়োপিক বানান ২০০৪-য়ে। ছবির নাম ‘বোস...দ্য ফরগটেন হিরো’। তার তিন বছর পরে, ফিরোজ আব্বাস খান পরিচালনা করেছিলেন ‘গাঁধী...মাই ফাদার’। এ ছাড়াও শহিদ ভগৎ সিংহ, সাঁইবাবাকে নিয়েও তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি হিন্দি ছবি। বেশিরভাগ ছবি প্রশংসা পেলেও বক্স অফিসে এগুলো বিশাল প্রভাব ফেলতে পারেনি।

প্রিয়ঙ্কা চোপড়া মিলখা সিংহের সঙ্গে ফারহান আখতার মাধুরী দীক্ষিত
ছবি ব্যবসার গল্পটা পাল্টে যায় ২০১০-এ। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই’য়ের সাফল্যের পর থেকে। এক এক করে ‘ইন্সপায়ারড বাই রিয়েল লাইফ’ ছবি হিট করে। তার মধ্যে যেমন ছিল ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, তেমনই ছিল ‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’। ‘পান সিং তোমর’ বা ‘চিটাগং’য়ের মতো ছবিও দর্শকের নজর কাড়ে। কেউ কেউ বলছেন এই সাফল্যই বলিউডকে জীবনী-নির্ভর ছবির দিকে ঝুঁকিয়েছে। আর্ট ফিল্মের তকমা সরিয়ে এই ধরনের ছবিই এখন বলিউডের বক্স অফিস মাতানোর সহজ রাস্তা।
তাই এই ছবিগুলোই এখন শিরোনামে। এক দিকে রয়েছে ফারহান আখতারের ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। অন্য দিকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মেরি কম-কে নিয়ে ছবি। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি কেতন মেটার ছবিতে করেছেন ‘মাউন্টেনম্যান’ দশরথ মাঝির চরিত্র। স্বাধীনতা সংগ্রামী গৌরহরি দাসের স্বাধীনতা সংগ্রামীর ‘সার্টিফিকেট’ জোগাড় করার লড়াই নিয়ে ‘গৌরহরি দাস্তা’। অভিনয়ে বিনয় পাঠক আর কঙ্কনা সেন শর্মা। সামনের বছর রণবীর কপূর শ্যুটিং করবেন কিশোর কুমারের চরিত্রে। পরিচালক অনুরাগ বসু।
এখানেই শেষ নয়। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে যে বিদ্যা বালন রাজীব মেননের পরিচালিত বায়োপিকে করতে চলেছেন কিংবদন্তি শিল্পী এম এস সুব্বুলক্ষ্মীর চরিত্র। রাজীব অবশ্য মানতে নারাজ যে তাঁর ছবিটি একটি বায়োপিক। “আমি এখনও গল্পটা লিখছি। এটা একটা কাল্পনিক গল্প। লেখা শেষ হলে তবে তো কাস্টিং,” রাজীব জানান।
এ বছর শুরু হবে উমঙ্গ কুমারের মেরি কম-কে নিয়ে ছবি। “বছর দুই আগে, আমার লেখক আমাকে মেরি কমের গল্প বলেন। তখন ও পাঁচ বার পরপর বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু তখনও আমার মতো মানুষ ওর সম্পর্কে কিছুই জানতাম না এটাই আমাকে নাড়া দিয়েছিল,” উমঙ্গ বলেন।
তার পর মেরির অলিম্পিক যাত্রা শুরু। “জীবনী-নির্ভর ছবি বানাব বলে বানাতে শুরু করিনি। চেয়েছিলাম একটা ইন্সপায়ারিং গল্প বলতে। সেটাই করছি। মেরি সব স্বত্বও দিয়ে দিয়েছে। লোকে আজকাল অনেক নতুন নতুন গল্প শুনতে চায়। দর্শক নতুন স্ক্রিপ্ট পছন্দ করছে। আর কৃতী মানুষেরা যদি রাজি থাকেন তাঁদের গল্প বড় পর্দায় দেখতে, সেটা সিনেমার পক্ষে মঙ্গল।”
ভূপেন হজারিকা মারা গিয়েছেন ২০১১-য়। ইতিমধ্যে মহেশ ভট্ট আর কল্পনা লাজমি মিলে সঙ্গীতজ্ঞের উপর একটি জীবনী-নির্ভর ছবি বানানোর কথা ভাবছেন। ‘‘কল্পনা চিত্রনাট্যটা লিখছে। এটা ওর ‘লিভড্ ট্রুথ’। আমি ওর ‘ক্রিয়েটিভ বাউন্স বোর্ড’। ওর আর ভূপেনের সম্পর্কের স্মৃতিগুলোকে আমি উস্কে দিচ্ছি। ওর লেখা শেষ হলে কাস্টিং শুরু করব,” মহেশ জানান।
ছিদ্রান্বেষীরা অবশ্য বলছেন যে ‘শুদ্ধ বায়োপিক’ করাটা এ দেশে সম্ভবই নয়। কারণ? আইন-কানুন, দর্শকের সংবেদনশীলতার মাত্রা আর বাণিজ্যিক চাপ। যাঁরা স্বত্ব কিনে জীবনী-নির্ভর ছবি বানান, তাঁদের সমস্যাটা হয় না। যেমন বেদব্রত পাইনের সেটা হয়নি ‘চিটাগং’ বানানোর সময়। “জীবনী-নির্ভর ছবি বানাতে গেলে মনে রাখা উচিত যে সেই চরিত্রটিকে যেন ছোট করে না দেখানো হয়। উদ্দেশ্যটা ঠিক থাকলে অসুবিধে হয় না,” বেদব্রত বলছেন।
সমস্যার সৃষ্টি হয় পরিবারের কেউ বেঁকে বসলে। প্রথমে ছবিগুলির প্রচার করা হয় বিতর্কিত ব্যক্তিটির জীবনী হিসেবে। দর্শকের কৌতুহল বাড়তে না বাড়তেই ছবি থেকে ‘বায়োপিক’ তকমাটা উঠে যায়। আসল নামগুলো তুলে দেওয়া হয়। ছবির পিআর মেশিনারি তখন প্রচার চালায় এই বলে যে সিনেমাটা কাল্পনিক গল্প-নির্ভর বা এক জন মানুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত।
তবে প্রচারের এই রাস্তাটা যে একেবারে খারাপ, তা বলতে নারাজ মহেশ। “দ্য ওয়ার্ল্ড ডাজ নট ওয়ান্ট আনভার্নিশড ট্রুথ। তাই বিনোদন দরকার। প্রচার শব্দটাই খারাপ, এটা ভাবা ঠিক নয়,’’ বলেন তিনি।
‘মেঘে ঢাকা তারা’য় শাশ্বত। নাকি ঋত্বিক ঘটক?
তাই হয়তো ‘শ্যুটআউট অ্যাট ওয়াডালা’ ছবিতে তিন তিনটে আইটেম নাম্বার। আছেন সানি লিওন, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া, সোফি চৌধুরী। ছবির নায়ক জন আব্রাহাম। চরিত্রটি হল মান্য সুরবে। মুম্বই পুলিশ রেকর্ডে মান্য হলেন সেই গ্যাংস্টার যিনি প্রথম ‘রেজিস্টার্ড এনকাউন্টার’-এ মারা যান। তবে ছবিতে শুধুমাত্র মান্য-র চরিত্রের নামটাই আসল রাখা হয়েছে। অন্য সবার নাম আলাদা। এমনকী দাউদ ইব্রাহিমের উপর নির্ভর চরিত্রটিরও নাম পাল্টে করা হয়েছে দিলাওয়ার। পরিচালক সঞ্জয় গুপ্তর মতে আমাদের দেশে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে একটা বায়োপিক বানালেও মাত্র পাঁচশো টাকা খরচ করে ছবির সম্পর্কে অভিযোগ করা যায়। ‘‘কে ওই রিস্ক নেবে বলুন তো? আমি মান্য সুরবের বাড়ি থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। তাই তাঁর নামটা ব্যবহার করেছি ছবিতে। কিন্তু অন্য সব নাম পাল্টাতে বাধ্য হই। ছবিটি হুসেন জাইদির বই ‘ডোংরা টু দুবাই’-এর ভিত্তিতে। বইয়ে সব চরিত্রের নামগুলোই আসল। কিন্তু ছবিতে তা রাখতে পারিনি,” সঞ্জয় বলেন।
‘রা ওয়ান’য়ের পরিচালক অনুভব সিংহের প্রযোজিত ‘গুলাব গ্যাং’ ইতিমধ্যে বিতর্কে জড়িয়ে। মাধুরী দীক্ষিতের ছবি। পরিচালক সৌমিক সেন। প্রচুর লেখালিখি হয়েছে এই বলেই যে, ছবিটি নাকি উত্তর প্রদেশের সম্পত পাল দেবীর জীবন নিয়ে তৈরি হচ্ছে। “বাস্তবে সম্পতের দলটির নাম ‘গুলাবি গ্যাং’। আমাদের ছবির নাম ‘গুলাব গ্যাং’। যা কিছুই লেখা হোক, আদতে আমরা বায়োপিক তৈরি করছি না। আমার পরিচালক সৌমিক, কিশোর কুমারের ওপর একটা ছবি করছেন। সেটি জীবনী-নির্ভর,” অনুভব জানান।
এই ‘গুলাব গ্যাং’ আর ‘গুলাবি গ্যাংয়’-এর নামের মধ্যে বিভ্রান্তি কি ছবিটির উপকার করবে না? হলে গিয়ে না হয় অন্য গল্প দেখবেন দর্শক। কিন্তু সম্পত পাল নিয়ে বিতর্ক নিশ্চয়ই তাদের উৎসাহ বাড়িয়ে দেবে।
অনুভব অবশ্য তা মানছেন না। বলছেন, “একদল লোক এই জন্য হলে আসতে পারেন। কিন্তু অনেকে এই কনফিউশনটার জন্য রেগেও যেতে পারেন। সম্পত পাল দেবীরা খুব ভাল কাজ করছেন। গোলাপি শাড়ি পরেন তাঁর দলের সদস্যরা। গ্রামের মেয়েদের প্রতি অত্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হন। সম্পতের সম্পর্কে মানুষের জানা উচিত। কিন্তু শুনেছি যে তিনি এই কনফিউশনের পরে আমাদের ছবি নিয়ে খুব একটা খুশি নন। তাই আমি জানি না আখেরে এই নামের মিলটা কতটা আমাদের ছবির জন্য ভাল হবে।”
অতীতে টলিউডে বায়োপিক বানানোর চল ছিল বেশ। পাহাড়ি সান্যাল অভিনীত ‘বিদ্যাসাগর’, বসন্ত চৌধুরীর ‘রাজা রামমোহন’, উৎপল দত্তের ‘ঝড়’, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’ থেকে শুরু করে উত্তমকুমার-সুপ্রিয়া চৌধুরী অভিনীত ‘সন্ন্যাসী রাজা’ আর লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ খ্যাত ‘সুভাষ চন্দ্র’।
হালফিলের টলিউডের প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ ছবিটি করে। তার পরে টলিউডে মুক্তি পেয়েছে স্বামী বিবেকানন্দর জীবন নিয়ে ছবি।
মাঝে কথা হয়েছিল পাওলির দু’টো জীবনী-নির্ভর ছবি করার। একটি মিস শেফালিকে নিয়ে। অপরটির মুখ্য চরিত্রে গীতা দত্ত। “মিস শেফালিকে জানিয়েই এই ছবির কাজ শুরু করা হয়েছে। তবুও ছবিতে চরিত্রের নাম বদলে দেওয়া হচ্ছে। শ্যুটিং শুরু হবে এ বছরের শেষে। আর গীতা দত্তের ছবিটি প্রথমে বাংলায় হবে ঠিক থাকলেও আপাতত হিন্দিতে হবে বলেই ঠিক হয়েছে। সেই মতো স্ক্রিপ্ট লেখার কাজ চলছে,” পাওলি জানালেন।
সামনেই মুক্তি পাবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘মেঘে ঢাকা তারা’। না, ছবিতে পরিচালকের নাম ঋত্বিক ঘটক নয়। তবে ঋত্বিক-প্রসঙ্গ বারবার উঠে এসেছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’র ক্ষেত্রে। বলাই বাহুল্য, ছবিটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।
ব্যক্তিগত জীবনের ইতিকথা থেকে বেশি রোমাঞ্চকর স্ক্রিপ্ট পাওয়া দুষ্কর। সেখানে যেমন আছে অনুপ্রেরণার খোরাক, ঠিক তেমন ভাবেই উপস্থিত বিতর্ক, বিনোদন আর বক্স-অফিস মাত করে দেওয়ার হাতছানি।
আইনের বাধা হয়তো রয়েছে। তবে বুদ্ধি করে ছবি বানালে সেটা এড়ানোও সম্ভব। কিছু না হলে এই ‘কতটা সত্যি, কতটা কল্পনা’ এই বিতর্কের জেরেই হয়তো ছবি হিট হয়ে যেতে পারে। হিট-ক্রেজি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সিনেমাওয়ালাদের কাছে এটাই বা কম কী?

পর্ন কথা
অখিলেশ জয়সোয়ালের কাছে পর্ন লেখককে নিয়ে ছবি বানানোর কারণ ছিল একেবারেই ব্যক্তিগত। টিন এজ বয়সে মাস্তরামের অনেক গল্প পড়েছেন অখিলেশ। বইগুলোর নামও ছিল বেশ মুখরোচক। যেমন ‘জিজাজি কা প্যার’, ‘যৌবন কি বারিশ’। “অনেক খোঁজ করেছি মাস্তরামের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার। কিন্তু কাউকে খুঁজে পাইনি। তার পর নিজের কল্পনা দিয়েই গল্পটা লিখি। সে সময় ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’য়ের পোস্ট প্রোডাকশন চলছে,” অখিলেশ জানান। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন রাহুল বাগ্গা আর তারা আলিশা বেরি (গল্ফার গৌতম বেরির কন্যা)।

পর্ন লেখক মাস্তরামের জীবন নিয়ে তৈরি ছবির দৃশ্য
শ্যুটিং হয়েছে মানালিতে। ছবিতে অ্যাডাল্ট দৃশ্য রয়েছেই। “ছবিটি প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয় নিয়ে তৈরি। তবে স্মার্টলি শ্যুট করেছি। অনেকটাই দর্শকের কল্পনার উপর ছেড়ে দিয়েছি। ঠিক যে ভাবে মাস্তরাম করতেন,” পরিচালক জানান। মাস্তরামের পরিবারে কেউ যদি ছবি মুক্তির আগে ঝামেলা করেন? অখিলেশ নিরুত্তাপ। জানান, “‘মাস্তরাম’ হল কাল্পনিক গল্প। ১৯৭০য়ের পটভূমিতে লেখা। আমি মাস্তরামকে ভাল নজরেই দেখিয়েছি। সমাজকে
নিয়েই কমেন্ট্রি আছে ছবিতে।”


সিনেমায় যেমন হয়
অনুপ্রেরণা: সম্পত পাল
অভিনয়ে: মাধুরী দীক্ষিত
আসলে কী ঘটছে: “গুজব ছড়িয়েছে যে, ‘গুলাব গ্যাং’ সম্পত
পালের জীবনী। কিন্তু এটা সত্যি নয়,” প্রযোজক অনুভব সিংহ

অনুপ্রেরণা: মেরি কম
অভিনয়ে: প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
আসলে কী ঘটছে: “মেরি কমের জীবনের উপর ভিত্তি করেই
ছবিটি বানাচ্ছি। সব স্বত্ব নিয়েছি,” পরিচালক উমঙ্গ কুমার

অনুপ্রেরণা: এম এস সুব্বুলক্ষ্মী
অভিনয়ে: বিদ্যা বালন
আসলে কী ঘটছে: “সব গুজব। আমি একটা কাল্পনিক
গল্প নিয়ে চিত্রনাট্য লিখছি,” পরিচালক রাজীব মেনন



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.