গ্রেফতার ভুয়ো ডাক্তার-নার্স
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
ভুয়ো ডাক্তার ও নার্স সেজে ‘হেপাটাইটিস-বি’ ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা হল আড়ংঘাটার বাসিন্দা দিলীপ বিশ্বাস ও হাঁসখালির বাসিন্দা ডলি বিশ্বাস। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে হেপাটাইটিস-বি ইঞ্জেকশন দেওয়ার ব্যাপারে এলাকায় ঘটা করে মাইকে প্রচার করা হয়। ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য প্রায় শ’তিনেক লোক ১৫ টাকা দিয়ে নাম নথিভুক্ত করেন। সূচী অনুযায়ী রবিবার সকাল থেকে কৃষ্ণনগর শহর সংলগ্ন জালালখালিতে একটি প্রাথমিক স্কুলে রীতিমতো শিবির খুলে ইঞ্জেকশন দিচ্ছিলেন তিন জন। নেওয়া হচ্ছিল ৫০ টাকা করে। সকাল থেকেই দিব্যি চলছিল শিবির। বিপত্তি বাধে দুপুর গড়াতেই। কয়েকজনের হাত ফুলতে দেখা যায়। গ্রামের লোকজন খেয়াল করেন একই সিরিঞ্জ একাধিক লোকের শরীরে ঢোকানো হচ্ছে। গ্রামবাসীরা ‘ডাক্তার-নার্স’ দের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে দিলীপবাবু ও ডলিদেবীকে আটক করে। স্থানীয় দোগাছি পঞ্চায়েতের সদস্য রঞ্জিত বিশ্বাসের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। রঞ্জিতবাবু বলেন, “দিন তিনেক আগে ওই তিন জন একটি সংস্থার নাম করে শিবির করতে চেয়ে ফাঁকা জায়গা ও অনুমতি চায়। কিন্তু আমি তা দিইনি। পরিবর্তে প্রধানের কাছে যেতে বলি। না গিয়েই এ দিন শিবির খুলে ইঞ্জেকশন দিতে শুরু করে তাঁরা। এরপরই পুলিশে অভিযোগ জানাই। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অধীপ ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর থেকে এই ধরনের কোনও শিবিরের অনুমতি দেওয়া হয় না। কেবল সরকারি হাসপাতালেই এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।
|
দুর্ঘটনায় যকৃত্ ফেটেও বেঁচে গেলেন ছাত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
বেঁচে গেলেন আসানসোলের ম্যানেজমেন্ট ছাত্র ইন্দ্রনীল সাধু খাঁ। হাসপাতাল থেকে তাঁর এখনও ছুটি হয়নি। তবে ডাক্তারবাবুরা জানিয়ে দিয়েছেন, আর তাঁর জীবনের ঝুঁকি নেই। আগেই ইন্দ্রনীলের কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে একটি কলেজে তিনি বিবিএ পড়েন। সপ্তাহখানেক আগে আসানসোল থেকে বেরিয়ে মোটরবাইকে সেখানেই যাচ্ছিলেন। ধানবাদের কাছে হঠাত্ই বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বড় লরির পিছনে ধাক্কা মারে। যকৃত্ ফেটে যায় তাঁর। দুর্গাপুরের বিধাননগরে ইমন কল্যাণ সরণির দ্য মিশন হাসপাতালে যখন তাঁকে আনা হয়, তখন তিনি মৃতপ্রায়। রবিবার তিনি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে তিনি বলেন, “প্রচণ্ড শব্দ কানে এসেছিল শুধু। তার পরে আর কিছু মনে নেই।” হাসপাতালের শল্য চিকিত্সক ভাস্কর ধরের কথায়, “দেখি, রক্তে ভেসে যাচ্ছে। রক্তচাপ পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল।” অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দেরি করেননি। হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিত্ বসু জানান, কিডনি প্রতিস্থাপন করা কেউ এ ভাবে জখম হলে তাঁকে বাঁচানো কঠিন। সত্যজিত্বাবু বলেন, “চরম ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। ওকে সুস্থ করে তুলতে পেরে আমরা খুশি।” দুর্ঘটনায় প্লীহা ফেটে গিয়েও বেঁচেছেন সুমনা মণ্ডল নামে ৩৩ সপ্তাহের এক গর্ভবতী মহিলা। জাতীয় সড়ক ধরে যাওয়ার সময়ে ফরিদপুর মোড়ের কাছে একটি লরি তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তাঁর বাচ্চাটিকে বাঁচানো যায়নি। কিন্তু সুমনাদেবীকেও অস্ত্রোপচার করে বাঁচিয়ে তুলেছেন ভাস্করবাবুরা। তিনিও আপাতত হাসপাতালে ভর্তি।
|
অব্যবস্থার অভিযোগ হাসপাতালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
হাসপাতালে নানা অব্যবস্থার অভিযোগে বিক্ষোভ-সভা করল ডিওয়াইএফ। সংগঠনের প্রতিনিধিদল আট দফা দাবি জানাতে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে দেখা করে। সেই সব দাবির মধ্যে ছিল, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিত্সকের ব্যবস্থা করা, নানা অজুহাতে রোগীদের স্থানান্তর না করা, ব্লাড ব্যাঙ্কে সারা বছর রক্ত সংগ্রহের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখা, সব ধরনের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি। ডিওয়াইএফের কালনা জোনাল সম্পাদক আলিম শেখের অভিযোগ, “হাসপাতালে পরিষেবা যে ভাবে খারাপ হচ্ছে, তা অভাবনীয়। এ ব্যাপারে আমরা সই সংগ্রহ অভিযানে নেমেছি। তার পরে বিষয়টি প্রশাসনের নানা স্তরে জানানো হবে।” হাসপাতালের সুপার অভিরূপ মণ্ডলের আশ্বাস, দাবি খতিয়ে দেখা হবে। |