|
|
|
|
চাকরির দাবিতে নন্দীগ্রামে জমিহারাদের স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
চাকরির দাবিতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সদর দফতর কলকাতার গার্ডেনরিচে জমায়েত হয়ে রেল কর্তাকে স্মারকলিপি দিলেন নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ রেল প্রকল্পের জমিহারারা। এই উদ্দেশে মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম থেকে জমিহারা পরিবারের ৬০-৭০ জন বাসে চেপে কলকাতায় যান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি দিঘা-তমলুক শাখায় দেশপ্রাণ (বাজকুল) থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিমি নতুন রেলপথ তৈরির প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। এই প্রকল্পে জমিহারা পরিবারগুলির এক জন সদস্যকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। এই প্রকল্পের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬৩.২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে রেল দফতর। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪০৪টি জমিহারা পরিবার চাকরি পেয়েছে। কিন্তু ৪১৩টি পরিবার এখনও চাকরি পায়নি। এর মধ্যে অনেকেরই প্রায় এক বছর আগে ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। নিয়োগপত্র আসেনি। নন্দীগ্রামের ঘোলপুকুরিয়া গ্রামের অমিয় বেরা, নাড়ুগোপাল খাঁড়া বলেন, ‘‘জমির নির্ধারিত দামের ৮০ শতাংশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা জমি দিয়েছিলাম মূলত চাকরির আশায়। |
|
রওনা হওয়ার আগে।—নিজস্ব চিত্র। |
গত বছর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে আমাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর এক বছর পার হলেও চাকরি হয়নি।” কিসমত বাজকুলের সুমিতকুমার রায়, মিলন মাইতির ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল গত বছর ২৮ অগস্ট। তাঁদেরও বক্তব্য, “রেল প্রকল্পে কম দামে জমি দিতে রাজি হয়েছিলাম মূলত চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলে। কিন্তু ইন্টারভিউ নেওয়ার পরেও চাকরি পাইনি। রেলের অফিসে বারবার খোঁজ নিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।”
গত বছরই অরাজনৈতিক ভাবে নন্দীগ্রাম-১, ২ ব্লক ও ভগবানপুর-২ ব্লক এলাকার জমিহারারা ‘দেশপ্রাণ-নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্প ল্যান্ড লুজারস কমিটি’ গড়েছে। কমিটির সভাপতি উত্তম বেরা বলেন, “আমরা চাই রেলপ্রকল্পের কাজ হোক। একই সঙ্গে জমিহারা পরিবারে চাকরির ব্যবস্থা হোক। ভাগচাষি ও খাসজমির দখলদারদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, চাকরির এই দাবিতে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের হরিপুর এলাকায় রেলের কাজে বাধা দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রেলের এক আধিকারিক গত শুক্রবার গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন। সোমবার রেলের সদর দফতরে চাকরির দাবি জানাতে যাওয়া জমিহারারা অবশ্য বলেন, “আমরা রেলের কাজে বাধা দেব না। আমরা চাই রেল প্রকল্প চালু থাকুক। তবে প্রতিশ্রুতি মতো জমিহারাদের চাকরিও দিতে হবে।” |
|
|
|
|
|